কিশোরগঞ্জে অবরোধে মাঠে নেই বিএনপি ।
নীলফামারী চলমান হরতাল অবরোধ কর্মসূচী পালনে ব্যর্থ হয়েছে কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। সরকার পতনের এক দফা দাবী আদায়ে ঢাকায় মহাসমাবেশ থেকে ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে দেশব্যাপী ছোট খাটো বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে হরতাল। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক একেএম তাজুল ইসলাম ডালিম সর্বাত্মক ভাবে হরতাল পালন করতে দেখা গেলে ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাওয়া যায় নাই। একই দিনে দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করার প্রতিবাদে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী টানা ৭২ ঘন্টা রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ ৩১ অক্টোবর ১, ২ নভেম্বর তিনদিনের অবরোধের ডাক দেন। আবার দ্বিতীয় ধাপে ৫ ও ৬ নভেম্বর ৪৮ ঘন্টার অবরোধের ডাক দিলে ও কাউকেই মাঠে দেখা যায়নি।দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মারমূখী অবস্থা এবং গ্রেফতারের প্রতিবাদে তৃতীয় ধাপে ৮ ও ৯ নভেম্বর ৪৮ ঘন্টার এবং ৫ ম ধাপের অবরোধে ও উপজেলা বিএনপিকে কোথাও কোন মিছিল পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। চলমান আন্দোলন সংগ্রামে পরিবহন মালিক দোকান পাট সহ জনসাধারণের সমর্থন থাকা স্বত্তে ও বলিষ্ট নেতৃত্বের অভাবে অবরোধ কর্মসূচী পালনে ব্যর্থ হয়েছে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি অধিন্যস্ত ইউনিট কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। বিভিন্ন মোড় ঘুরে দেখা যায় অবরোধ সমর্থনে কোথাও পিকেটিং বা মিছিল করতে দেখা যায় নাই। দূর পাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকলে ও অফিস আদালত সহ ছোট খাট যানবাহন স্বাভাবিক ছিল।বিএনপি চলমান সংকটে ত্যাগী নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে গেছে। যেখানে সাধারণ জনগণ হরতাল অবরোধকে সমর্থন জানিয়ে দূরপাল্লার যানবাহন রাস্তায় নামাননি। সেখানে কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি অবরোধ পালনের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন রংপুর বিভাগীয় শহরে বসবাস করায় সকল কর্মসূচীতে ব্যর্থতার দায়ভার নিয়েছে। তার উপর তৃণমূল নেতাকর্মী দিনদিন আস্থা হারিয়ে ফেলছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক তৃণমূল নেতা বলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁত করে চলেফেরা করে ।গত ২১ জানুয়ারী-২২ সালে বিএনপির সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সকল ধরণের সার্বিক সহযোগীতা নিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নিজেই জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপি এসেছেন। তার দ্বারা আর কি আশা করা যায়। তারা আরো বলেন, আমরা কার ভরসায় আন্দোলনে যাবো। আমাদের নিরাপত্তা কে দিবে? এমন নেতৃত্ব থাকলে এক দফা নয় জিরো দফাও আদায় করতে পারবে না। ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে পকেট কমিটি দিয়ে হরতাল/অবরোধ পালন করতে পারবে না কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি দাবী তৃণমূল নেতাদের।