প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭

খুলনায় বেড়েছে লেপ-তোশকের চাহিদা

খুলনায় বেড়েছে লেপ-তোশকের চাহিদা । দিনে কিছুটা গরম থাকলেও রাতে বেশ ঠাণ্ডা পড়ায় খুলনাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে লেপ-তোশক বানানোর কারিগররা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শীতের আগমনী বার্তায় প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবেলায় লেপ-তোশকের চাহিদা বেড়ে গেছে। শীত মৌসুমে খুলনাসহ পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট এলাকায় ও শীতের প্রভাব বেশি পড়তে শুরু করেছে। শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোশক বানানোর কাজ শুরু হয় অক্টোবর-নভেম্বর থেকেই। খুলনা শহরের রেল স্টেশন, ডাকবাংলা মোড়, শিববাড়ি মোড়, সোনাডাঙ্গা, উপজেলার দাকোপ, বটিয়াঘাটা, ফুলতলা, রুপসা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, দিঘলিয়া, তেরখাদাসহ একাধিক লেপ-তোশক বানানোর প্রায় ৩০ জন কারিগর এর সাথে কথা হয়েছে। যারা মালিকদের লেপ-তোশক তৈরির অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে থাকেন। জাজিম, লেপ-তোশক তৈরির মজুরি হিসেবে তারা পান ছোট-বড় অনুযায়ী প্রতিটি জাজিম ৪০০, লেপ বা তোশক হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা করে।নগরীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার লেপ-তোশক বানানোর কারিগর মামুন হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, শীত মৌসুমে অতিরিক্ত আয়ের আশায় প্রতিদিন গড়ে তিন-চারটি লেপ বা তোশক তৈরি করে থাকেন, যা আয় হয় তা দিয়ে ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের খরচ চলে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কারনে এখন এই ইনকাম দিয়ে চলেনা। দাকোপ উপজেলার বাজুয়া বাজারে কারিগরদের মধ্যে আলম কারিগর, রশিদ কারিগর, আবু বক্কার কারিগর জানান, সাইজ অনুযায়ী এবার লেপ তৈরিতে খরচ পড়ছে ৭০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। ৫০ কেজি ওজনের একটি জাজিম দুই হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তোশক বানাতে খরচ পড়ছে ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। তুলার দামের ওপর খরচ কমবেশি হয়ে থাকে বলে জানান কারিগররা। মজুরি, তুলাসহ লেপ-তোশক বানানোর কাজে ব্যবহত জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোশকের দাম গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ আলী বেডিং স্টোরের মালিক আনিসুর রহমান। বর্তমান বাজারে গার্মেন্টস ঝুট দিয়ে তৈরি সিঙ্গেল তোশক ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং ডবল তোশক ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর শিমুল তুলা ছিল ৩৫০ টাকা কেজি, এবার বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪০০ টাকা। গার্মেন্টস ঝুট গত বছর ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তোশক বিক্রেতা রমজান আলী। অন্যান্য তুলাও কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন