প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫ ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১২ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

বারহাট্টায় নিশ্চিন্তপুর স্কুল নিয়োগ প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

বারহাট্টায় নিশ্চিন্তপুর স্কুল নিয়োগ প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ । নেত্রকোণা বারহাট্টায় নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন পদে নিয়োগ পরীক্ষার আগেই প্রার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।এমন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে।এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. বাচ্চু মিয়া। গত ২ নভেম্বর তিনি এসব অভিযোগ জমা দেন। বাচ্চু মিয়া নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।অভিযোগে বাচ্চু মিয়া উল্লেখ করেন, উপজেলার নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী, আয়া ও অফিস সহায়ক এ তিন পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি করা হয়। গত ১৯ জুলাই পত্রিকায় এ সংক্রান্ত নিয়োগ প্রকাশিত হয়। ৮ নভেম্বর জেলার আঞ্জুমান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই একেক পদের জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ৫-৬ লাখ করে টাকা নিয়ে নিয়েছেন। এখন একটি নাটকীয় নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পাশ করানোর চেষ্টা করবেন। চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা নেওয়ার বিষয়টি এলাকার জানাজানি হলে নানা আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকজন চাকরি প্রার্থীর নাম ও তাদের কাছ থেকে কত টাকা করে নেওয়া হয়েছে সেই পরিমাণও তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।বাচ্চু মিয়া বলেন, এর আগেও বিদ্যালয়ে ঝাড়ুদার ও কম্পিউটার ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগেও লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে নাটকীয় পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।বিদ্যালয়ের সামনে থাকা চা দোকানি সালেক মিয়া জানান, চাকরির জন্য আগে থেকে বড় অংকের টাকা নেওয়া হয়ে গেছে প্রার্থীদের থেকে। দোকানে বসে প্রায় সময়ই লোকজন এমন আলোচনা করে। কতটুকু সত্যি জানি না। তবে এলাকায় এমন আলোচনা আছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম ফারুক বলেন, অভিযোগটি একেবারেই মিথ্যা। পরীক্ষা দিয়ে যারা পাশ করবে তাদেরই চাকরি হবে। পরীক্ষার সময় শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সেখানে থাকবেন। আমাদের পক্ষে তো কাউকে স্বজনপ্রীতি করে চাকরি দেওয়ার সুযোগ নেই।ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রদীপ কুমার জোয়ারদার বলেন, অভিযোগকারী বাচ্চুর শালা চাকরি প্রার্থী। তার দাবি হলো শালাকে যেভাবেই চাকরি দিতেই হবে। চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। কিন্তু তিনি তা মানতে নারাজ। তাই রাগে গিয়ে এমন অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা স্বচ্ছভাবে নিয়োগ দিতে বদ্ধপরিকর।এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, অগ্রীম ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি আমাকে মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন একজন। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলব নিয়োগ পরীক্ষাটা যেন যথাযথভাবে হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে।মঙ্গলবার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ. গফুর বলেন, অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। এখনো দেখা হয়নি এতে কি আছে। দেখে এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন