প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫ ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

রংপুরে বেড়েছে লেপ-তোশকের চাহিদা

রংপুরে বেড়েছে লেপ-তোশকের চাহিদা।  দিনে কিছুটা গরম থাকলেও রাতে বেশ ঠাণ্ডা পড়ায় রংপুর সহ পার্শ্ববর্তী জেলা গুলোতে লেপ-তোশক বানানোর কারিগররা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শীতের আগমনী বার্তায় প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবেলায় লেপ-তোশকের চাহিদা বেড়ে গেছে। শীত মৌসুমে রংপুর সহ পার্শ্ববর্তী, নিলফামারী জেলার ঠাকুরগাঁও,পঞ্চগড়, লালমনিরহাট জেলার বুড়ীমাড়ি পাঠগ্রাম এসব এলাকায় শীতের প্রভাব বেশি থাকে। শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোশক বানানোর কাজ শুরু হয় অক্টোবর-নভেম্বর থেকেই। রংপুর শহরের রেল স্টেশন, খামার বাড়ি, মেডিকেল পূর্বগেট,বুড়ির হাট সহ একাধিক লেপ-তোশক বানানোর প্রায় ৩০ জন কারিগর এর সাথে কথা হয়েছে। যারা মালিকদের লেপ-তোশক তৈরির অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে থাকেন। জাজিম, লেপ-তোশক তৈরির মজুরি হিসেবে তারা পান ছোট-বড় অনুযায়ী প্রতিটি জাজিম ৪০০, লেপ বা তোশক হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা করে। নগরীর মেডিকেল পূর্বগেট এলাকার লেপ-তোশক বানানোর কারিগর মামুন হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, শীত মৌসুমে অতিরিক্ত আয়ের আশায় প্রতিদিন গড়ে তিন-চারটি লেপ বা তোশক তৈরি করে থাকেন,যা আয় হয় তা দিয়ে ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের খরচ চলে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কারনে এখন এই ইনকাম দিয়ে চলেনা। কারিগরদের মধ্যে রমজান আলী, আলম হোসেন, হায়দার আলী, বাচ্চু মিয়া, আজম, মিঠু ও রানা জানান, সাইজ অনুযায়ী এবার লেপ তৈরিতে খরচ পড়ছে ৭০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। ৫০ কেজি ওজনের একটি জাজিম দুই হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তোশক বানাতে খরচ পড়ছে ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। তুলার দামের ওপর খরচ কমবেশি হয়ে থাকে বলে জানান কারিগররা। মজুরি, তুলাসহ লেপ-তোশক বানানোর কাজে ব্যবহত জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোশকের দাম গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ আলী বেডিং স্টোরের মালিক আনিসুর রহমান। বর্তমান বাজারে গার্মেন্টস ঝুট দিয়ে তৈরি সিঙ্গেল তোশক ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং ডবল তোশক ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর শিমুল তুলা ছিল ৩৫০ টাকা কেজি, এবার বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪০০ টাকা। গার্মেন্টস ঝুট গত বছর ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তোশক বিক্রেতা রমজান আলী। অন্যান্য তুলাও কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন