ইসলামধর্ম শিক্ষা অর্জনকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। আমাদের রাসূল সা. প্রত্যেক উম্মতের জন্য ধর্মীয় শিক্ষা ফরজ বলে ঘোষণা করেছেন। তাই প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত সন্তানদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা। প্রত্যেকটি সমাজের উচিৎ ধর্মীয় শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা হচ্ছে, ইসলাম ও মুসলমানদের ধ্বংস করতে বৃটিশরা যে শিক্ষাব্যবস্থা চালু করেছিল সেটার নতুন সংস্করণ। পাঠ্যবইতে যার নমুনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাই সরকারের কাছে আমাদের ঈমানী দাবী হচ্ছে, আমাদের নব্বই পার্সেন্ট মুসলমানদের দেশে জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
ইসলাম ও মুসলমানদের ঈমান-আমল রক্ষা করতে চাইল আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে তাকওয়া অর্জন করা। দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ থাকা। কারণ ঐক্যবদ্ধতা হচ্ছে মুমিন মুসলমানদের মৌলিক বুনিয়াদ। আর আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ হচ্ছে, তোমরা বিভেদ করো না। কারণ বিভেদ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া না থাকলে তোমাদের প্রভাব ও শক্তি দুর্বল হয়ে যাবে। তাই আমরা যদি আমাদের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করতে চাই তাহলে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মের বিকল্প নেইউত্তর চট্টলার ঐতিহ্যবাহী দীন-দরদী সেবামূলক সংগঠন আল-আমিন সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত তিনব্যাপী তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের প্রথম দিবসের প্রধান অতিথির বক্তব্যে কওমী মাদরাসাভিত্তিক বৃহৎ শিক্ষাবোর্ড বেফাক-এর মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক এসব কথা বলেন।
১ নভেম্বর বুধবার দুপুর ২টা থেকে হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানেহাফেজ মাওলানা রিজওয়ান আরমানের সঞ্চালনা, মাওলানা কারী ইছহাকের তেলাওয়াত এবং মাওলানা কারী মুঈনুদ্দীনের উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রথম দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।
তাফসীর মাহফিলে মাওলানা হাবীবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা ওসমান ফয়েজী, মাওলানা মোহাম্মদ শফী ও মাওলানা শেহাব উদ্দীনের ধারাবাহিক সভাপতিত্ব করেন।
তিনদিনব্যাপী তাফসীর মাহফিলের প্রথম দিবসে তাফসীর পেশ করেন, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা আব্দুল মান্নান ওসমানী, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, মুফতি ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মারুফ, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ, মাওলানা আবু আহমদ, মাওলানা আব্দুচ্ছমি, মাওলানা শোয়াইব বিন ইয়াহইয়া, মুফতী রাশেদ, মাওলানা আনওয়ার শাহ আজহারী প্রমুখ।