প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫ ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১২ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

যানজট ও জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে বাকলিয়া বাস্তহারা জনসাধারণ ৪৫ হাজার মানুষ 

যানজট ও জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে বাকলিয়া বাস্তহারা জনসাধারণ ৪৫ হাজার মানুষ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

একটুখানি বৃষ্টি হলে তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম শহরের অনেক জায়গা, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় প্রায় নগরজুড়ে।নোমান কলেজ রোড়ে এলাকায় একটু বৃষ্টিতে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি ওঠে।বাকলিয়া বাস্তাহারা খেতচর মোহাব্বত নগর, এলাকার বাসিন্দারা বর্ষায় জলাবদ্ধতার সঙ্গে যুদ্ধ করেই মৌসুম পার করে।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,৩৫ নং ওয়ার্ডে বাস্তহারা সড়ক শহীদ এন,এন,এম জে বাকলিয়া কলেজের সামনে জলাবদ্ধতার দৃশ্য যেন প্রতিনিয়ত পোহাতে হচ্ছে কলেজ ছাত্র ছাত্রী ও জনসাধারনকে।সব চেয়ে বেশি কষ্ঠ পোহাতে হয় গার্মেন্টস নারী শ্রমিকদের।পানি কোমর পযন্ত হওয়ার রিক্সশা ওয়ালারা ১০ টাকার ভাড়া ৩০/৪০ টাকা নেয়।এইটা নিত্যদিনের ঘটনা। গার্মেন্টস শ্রমিকরা জানান একটু বৃষ্টি হলেই হাটু পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট।আমরা সকালে বের হলে যাওয়ার কোন রাস্তা থাকে না হাটুর উপর পানি কষ্ঠের শেষ নেই।নালার উপর দিয়ে হাটা যায় কিন্ত সেইটা দখলে নিছে দোকানদাররা।নালার উপরে সবকটি দোকানের মালামাল থাকায় পানির উপরে যেতে হয় আমাদের ৩০/৪০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা নেই আমাদের।এইসব যেন দেখার কেউ নেই।জনসাধারণের অভিযোগ বাস্তহারা গলি মুখে প্রতিদিন লেগে থাকে যানজট,অবৈধ অটোরিকশা ও গ্রাম সিএনজি ষ্টেশন। কলেজের পর থেকে একপাশে গাড়ি পাকিং আরেক পাশ দোকানদারের দখলে হাটার কোন রাস্তা নেই।হাটু সমান পানিতে রিক্সশা সহ উল্টে ২ বৃন্ধ নারি আহত হয়।পানির ভিতরে বড় বড় গর্ত হয়ে পড়ে যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত।জনসাধারন ও ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের যেমন অসুবিধা তেমনি জলাবদ্ধতা ও। স্থানীয় জনগন বলছেন কাউন্সিল হাজী নুরুল হককে অনেক বার বলেছেন জলাবদ্ধতা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের ২-৩ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে নালা পরিষ্কার করে যায়।আবারো একই অবস্থা সন্মুখীন হতে হয় তাদের।বিশেষ করে বাকলিয়া সেইল সেন্টার ও হাসানের সেইল সেন্টারের বালির কাঁদা মাটি গিয়ে নালা বরাট হয়ে পড়ে,নালার গবীর ১০ ফিট হলেও ১ ফুট খালি নাই সব বালি আর কাদাঁ মাটিতে বরাট।বালি ব্যবসায়ীদের ক্ষমতা বেশি থাকায় তাদের সাথে কেউ প্রতিবাদ করেনা বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিল হাজী নুরুল হকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি মাসে ৫ বার নালা পরিস্কার করি লোকজন নিয়ে,কিন্ত সোলায়মানের সেইল সেন্টার ও হাসানের বালির ব্যবসার কারণে জনগন কষ্ঠ পাচ্ছে।একাবাসি সোলাইমান ও হাসানের সেইল সেন্টার বন্ধ করলে আগের মত নালা পরিস্কার হয়ে যাবে বলেন তিনি। যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন দলীয় রাজনৈতিক নেতারা অবৈধ গাড়ীর ষ্টেশন করেছে যা সম্পুর্ন বেইআইনি।ঐ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারী আছেন।তিনি একার পক্ষে অবৈধ গাড়ীর ষ্টেশন উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়।

যানজট প্রসঙ্গ নিয়ে বাকলিয়া থানার টিআই অপূর্ব এর সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে সড়কের যানজটের বিষয়ে আমরা সাথে সাথে কাজ করি।আমি তৎক্ষণাৎ নিজে এসে রাস্তা ক্লিয়ার করে দেই।তিনি আরো বলেন গাড়ীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি আমরা ও ট্রু করছি।অটোরিকশার ও গ্রাম সিএনজি আমরা প্রতিনিয়ত মামলা দিতেছি।

এ বিষয়ে বাকলিয়া শহীদ এন, এম,এম,জে ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মালেক বলেন,আমি যানজটের এর বিষয়ে আমি শত শত অভিযোগ করি কিন্ত কোন ফলাফল নেই আগের মতই রয়েছে সব ।নালার বিষয়ে কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক সহ সিটি করর্পোরেশন এ অভিযোগ দিছি অভিযোগের কাগজ পত্র আমার কাছে সব রয়েছে।ছাত্রছাত্রী আসা যাওয়ার কোন পরিবেশ রাখে না,কলেজের মুখে যানজট লেগেই থাকে।

জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী বিষয়গুলো সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানি, বুঝি,এমনকি নিয়মিত দেখিও।কিন্তু কারও মধ্যে সচেতনতা কাজ করে না।ফলে দেখা যায় এখনো মানুষ ঘরের জানালা দিয়ে পলিথিনের ব্যাগে করে রাতের আঁধারে ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে, যেগুলো গিয়ে স্থান নেয় কোনো একটি পয়ঃনিষ্কাশন পাইপ কিংবা নালার মুখে। এতে পানি নিঃসরণের স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হয় নানা জটিলতা।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন