শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শয্যায় চেয়ে ভর্তি আছেন ৫ গুন। শরীয়তপুরে শিশুদের নিউমোনিয়া সর্দি কাশি ডায়রিয়া ও জ্বর সহ রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গেল বৃহস্পতিবার জেলা সদর হাসপাতালে অন্ত বিভাগে ১৪ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ৬৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এক সপ্তাহ ধরে গড়ে তিন জন শিশুকে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। বহির্বিভাগে অন্তত ৩০০ থেকে ৫০০ শিশু প্রতিদিন সেবা নিচ্ছে। শয্যার গুলির একটি ও ফাকা নেই এদিকে কোন শয্যায় তিনটি এবং কোন শয্যায় দুইটি শিশুকে রেখে চিকিৎসা চলছে। শয্যা না থাকায় অনেক রোগীকেই মেঝেতে বসে সেলাইন দেয়া হচ্ছে। শুধু শিশু ওয়ার্ডেই নয় দুই তালায় গাইনি ওয়ার্ডের করিডোর, শিশু ওয়ার্ডের বারান্দ, ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বারান্দতেও শয্যা পেতে চলছে চিকিৎসা। বহি বিভাগের বাইরে দুপুর একটার পর থেকেও লম্বা লাইন চার থেকে পাঁচ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পেতে হয় কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা। চিকিৎসা পেলেও ঠিক মত পাচ্ছে না ঔষধ। সামান্য দুই থেকে একটি ঔষধ হাসপাতাল থেকে পেলেও বেশিরভাগ ঔষধ কিনতে হয় বাইরে থেকে। শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডঃ আবুল হাদি মোহাম্মদ শাহ পরান, বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তিত এসব রোগে যেন শিশুরা আক্রান্ত না হয় সেজন্য উচিত বাবা-মার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। শুকনো পরিবেশে খাবার খাওয়ানো। মলত্যাগ করার পরে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করা। এসব রোগ প্রতিরোধে পুষ্টিকর ফলমূল খাওয়াতে হবে এবং বাবা মার সচেতন এর বিকল্প কিছু নেই।