অনেকেই কচুরমুখি খেতে পছন্দ করেন। আর যারা খেতে পছন্দ করেন না তারা কি জানেন, কচুরমুখি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী ? কচুরমুখিতে থাকে ভিটামিন এ, সি ও বি। আরও আছে কপার, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, পটাসিয়াম, বিটা ক্যারোটিন ও ক্রিপ্টোজেন্থিন নামক খনিজ উপাদান। আর ইলিশ মাছ খেতে কে না পছন্দ করেন! কচুরমুখির সঙ্গে ইলিশের মেলবন্ধন কিন্তু তরকারির স্বাদ বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। তাহলে দেরি না করে জেনে নিন কচুর মুখি দিয়ে ইলিশের ঝোল রান্নার রেসিপি। এই রেসিপিটি দিয়েছেন কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রিয়মুখ চিকিৎসাবিদ্যার ছাত্রী জান্নাত ইসলাম তুষ্টি।
উপকরণ :
কচুর মুখি আধা কেজি, ইলিশ মাছ ১টি, পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ চা চামচ, হলুদের গুঁড়া ২ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ২ চা চামচ, জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমাণমতো।
রান্নার প্রণালি :
প্রথমে ইলিশ মাছের আঁশ ফেলে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। তারপর টুকরো করে কেটে লবণ, মরিচ ও হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। এবার কচুরমুখি খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর টুকরো করে কেটে নিন। তারপর হলুদ ও লবণ দিয়ে সেদ্ধ করতে চুলায় বসিয়ে দিন। কচুরমুখি সেদ্ধ হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে এবার পানি ছেঁকে নিন। তারপর ইলিশ মাছের টুকরোগুলো হালকা করে ভেজে নিতে হবে।
এবার চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে পরিমাণমতো তেল দিন। এরপর তেল গরম হলে পেঁয়াজ-রসুন বাটা, মরিচ ও হলুদের গুঁড়া, জিরার গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মসলা ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। তারপর কচুরমুখি দিয়ে আরও কিছু সময় কষিয়ে নিন। এবার ২ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। যখন কচুরমুখি সেদ্ধ হয়ে আসবে তখন ভাজা মাছ দিয়ে ঢেকে দিন।
এরপর ঝোল কমে আসলে লবণ হয়েছে কি না দেখে নামিয়ে নিন কচুরমুখি দিয়ে ইলিশের মজাদার ঝোল। একটি সার্ভিং ডিশে নামিয়ে পরিবেশন করুন সুস্বাদু এই পদটি। গরম ভাতের সঙ্গে ইলিশ মাছ ও কচুরমুখির এই তরকারি বেশ মানিয়ে যাবে।