প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫ ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১২ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

ডুমুরিয়ায় রাস্তার জন্য ৪তলা বিল্ডিং সরলো কিন্তু বিদ্যুতের খুটি সরছে না

ডুমুরিয়ায় রাস্তার জন্য ৪তলা বিল্ডিং সরলো কিন্তু বিদ্যুতের খুটি সরছে না । খুলনা—সাতক্ষীরা সড়কে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া মোড়ে রাস্তার বাঁক সোজা করার লক্ষ্যে সম্প্রতি সওজ’র জমিতে নতুন ৪ তলা ভবন ভেঙ্গে ফেলা হলেও সম্প্রসারিত রাস্তার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের ৫টি পিলার না সরিয়েই নতুন রাস্তায় পিচ ঢালা হচ্ছে। যা দেখে জনতা হতবাক ! খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ, খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক মন্ত্রী তথা ডুমুরিয়া—ফুলতলা থেকে নির্বাচিত সাংসদ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ’র বিশেষ প্রচেষ্টায় খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে খুলনা—সাতক্ষীরা সড়কে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া মোড়, বালিয়াখালি ব্রীজ মোড়, কাঠালতলা মোড়—সহ বেশ কয়েকটি স্থানে বিপদজনক বাঁক সোজা করার জন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে গত কয়েক মাস ধরে নতুন করে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে গুটুদিয়ার বাঁকেই সওজ’র জমিতে নতুন ৪ তলা ভবন থাকায় অনেকদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকে। তবে অনেক আইনি জটিলতা শেষে গত সেপ্টেম্বর মাসে সেই নতুন ভবনটি বুলড্রোজার দিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার পর থেকে নতুন সড়কের নির্মান কাজ দ্রুতগতিতেই চলছে। কিন্তু ওই নতুন সড়কের মাঝ—বরাবরে থাকা পল্লী বিদ্যুতের ৫টি খঁুটি আজও অপসারণ না করায় জনমনে বিষ্ময় সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকালে গুটুদিয়া মোড়ে রাস্তার মাঝে ওই পিলারে ছবি তুলতে গেলে এলাকার শেখ আমজাদ হোসেন বলেন, কি বিষ্ময়কর ব্যাপার, যে বাঁকা রাস্তা সোজা করার জন্য কোটি টাকা দামের বিল্ডিং ভাঙ্গা হলো, সেই রাস্তার মাঝখানেই যদি বিদ্যুতের পিলার থাকে তা হলি, এই রাস্তা দিয়ে মানুষের কোন কাজে আসবে ? খর্ণিয়া এলাকার সাংবাদিক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বালিয়াখালি ব্রিজ মোড়ের দুই পাশে নতুন রাস্তা তৈরির জন্য পল্লী বিদ্যুতের ২২টি খুটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ গুটুদিয়া মোড়ে মাত্র ৫টি খুটি এখনও না সরিয়ে রাস্তা তৈরির কোনো মানে হয় ? এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান’র দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আমি দ্রুত সড়ক ও জনপথ এবং পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। আর খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ওই ভাঙ্গা ঝুকিপূর্ণ ভবনটি এখনও যেভাবে আছে, সেখানে আমরা হাই—ভোল্টেজ লাইন স্থাপন করতে চাইলেও বিদ্যুতের খুটি প্রায় ১০ ফুট রাস্তার ভেতরেই পড়তে পারে। তবে সওজ বিভাগের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। সওজ খুলনা’র উপ—সহকারী প্রকৌশলী আজিম কাওছার বলেন, ওই ভাঙ্গা বিল্ডিংটির ঝুকিপূর্ণ অবস্থানের কারণে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিকল্প ব্যবস্থায় লাইন সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত ওই পিলার সরানো হবে।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন