প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫ ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১২ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

অসহায় দিলদারের আকুতি চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় দিলদার

অসহায় দিলদারের আকুতি চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায় দিলদার।  দিলদার হোসেন পিতা মোঃ ছালাম মিয়া গ্রামঃ দেওতি ডাকঘরঃ দেওতি থানাঃ পীরগাছা জেলাঃ রংপুর। দিলদার চাকুরী করতেন আল মুসলিম গার্মেন্টস এর ফিনিশিং সেকশনের আয়রনম্যান হিসেবে। কিন্তু মহামারী করোনা কালীন সময়ে আল মুসলিম গার্মেন্টস কতৃপক্ষ বিনা নোটিশে দিলদারের মত অগনিত মানুষ কে চাকরি হতে বরখাস্ত করে। দিলদার নিরুপায় হয়ে কিস্তিতে অটোরিকশা কিনে পরিবারের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করতে চেষ্টা করেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস দিলদার অটো রিক্সা নিয়ে সাভারের সিএনবি এলাকায় মহাসড়কে উঠলে মহাসড়কে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সহযোগী কমিউনিটি পুলিশ দিলদারের গাড়ি আটক করে এবং দিলদারের পায়ে লাঠি দ্বারা আঘাত করলে দিলদারের পা ভেঙে যায়। এমত অবস্থায় দিলদারকে উপস্থিত সাধারণ জনগণ ও গাড়ির ড্রাইভারগণ তাৎক্ষণিক দিলদার কে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।এবংবিভিন্নধরনের মানুষের নিকট হতে সাহায্য তুলে চিকিৎসা করতে থাকে। একসময় দিলদারের পা অপারেশন করা হয়। দিলদার সুস্থ হওয়ার লক্ষ্যে তার সব কিছু বিক্রি করা অর্থ সহ ধার দেনা করে চিকিৎসা হতে থাকে। একপর্যায়ে তার সংসারে কঠিন অভাব দেখা দিলে। তার স্ত্রী তার একমাত্র সন্তান কে নিয়ে দিলদারের কষ্টের সংসার ত্যাগ করে চলে যায়। অসহায় দিলদারের ঘর নাই বাড়ি নাই অর্থ নাই খেদমতের লোক নাই শুধু নাই আর নাই এমতবস্থায় হতাশ হয়ে নিরুপায় অসহায় দিলদার আশ্রয় তার সহকর্মী অটো রিক্সা ড্রাইভার বন্ধু-বান্ধবের কাছে। দিলদারের স্ত্রী সন্তান দিলদার কে ফেলে গেলেও তার বন্ধুবান্ধব অটো রিক্সার ড্রাইভারগণ দিলদার কে ফেলেনি। বরং তাকে গ্যারেজে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। এবং তাকে অর্থনৈতিকভাবে তাদের সাধ্যমত সহযোগিতাও করতে থাকে। আসলে একজন অটো রিক্সার ড্রাইভার কতই বা সাহায্য করতে পারে? দিলদারের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনেক টাকার। সেই অর্থ জোগান দেওয়ার লক্ষ্যে অটো রিক্সার ড্রাইভার গণ দিলদার যখন যেখানে যায় দিলদার কে বন্ধুবান্ধবরা সেই সহযোগিতা করে পর্যায়ক্রমে। এমন সময় দিলদার যখন চিকিৎসার অর্থ জোগাড় করতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিলেন। ঠিক তখনই প্রতিনিধির সাথে সাক্ষাৎ হলে দিলদার বলেন আমি কিছুই চাইনা, আমি ভীক্ষা চাইনা আমি সুস্থ হয়ে কাজ করে খেতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মমতাময়ী মায়ের কাছে আমার চাওয়া আমি যেন উপযুক্ত চিকিৎসা পাই আর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন পেয়ে কাজ করে খেতে পারি। আমাকে সুস্থ হতে দেশবাসী ভাই ও বোনেরা সাহায্য করুন। চিকিৎসার জন্য আমার অনেক টাকার প্রয়োজন। আমাকে সুস্থ হতে সাহায্য করুন মহান আল্লাহ পাক আপনাদের সাহায্য করবেন। আজ আমি আমার নিজের জন্যই কিছু করতে পারছিনা স্ত্রী সন্তান ও বয়স্ক পিতা মাতার জন্য কি করবো? জানিনা আমার বাবা মা কেমন আছে? আমাকে সুস্থ হতে আমার দেশবাসী ভাই ও বোনেরা সাহায্য করুন।। সাহায্য পাঠানোর মাধ্যমঃ মোঃদিলদার হোসেন বিকাশ নং 01751767036

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন