
সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী :
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার অ্যাডভান্স কোচিং সেন্টার এর পরিচালক রোকনুজ্জামান ও এক শিক্ষক কর্তৃক একাধিক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া এবং মেসেঞ্জারে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে উত্তেজিত এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা কোচিং সেন্টার ঘেরাও করে অভিযুক্ত অ্যাডভান্স কোচিং সেন্টার পরিচালক রোকনুজ্জামান (শিক্ষককে) উত্তম মধ্যম দেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোচিং সেন্টারের শিক্ষক আহসান হাবীব এবং পরিচালক রোকনুজ্জামান গত এক বছর ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছিলেন। সম্প্রতি কয়েকজন ছাত্রী তাদের গার্জিয়ানদের কাছে অভিযোগ করে জানায়, শিক্ষক আহসান হাবীব ও রোকনুজ্জামান মেসেঞ্জারে বিভিন্ন সময় কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন এবং অনৈতিক প্রস্তাব দেন। ঘটনাটি জানার পর ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী কোচিং সেন্টারে গিয়ে ওই শিক্ষককে মারধর করে আটক করেন। পরবর্তীতে কোচিং সেন্টারের পরিচালক রোকনুজ্জামান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।Open photo
তিনি এই প্রতিবেদককে মুঠো ফোনে বলেন, “আমি কোনো শারীরিক সম্পর্ক করিনি, শুধু অনলাইনে কথাবার্তা বলতাম। আহসান হাবীব কী করেছে সেটা আমি জানি না,” অভিযুক্ত রোকনুজ্জামানের বাড়ি তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউপির মোহাম্মদপুর গ্রামে। পরে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি বলেন এ বিষয়ে নিউজ করার প্রয়োজন নাই নিউজ না করাই ভালো বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ বিষয়ে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কমলেশ বলেন, “দুপুরের দিকে এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা হয়েছে আর আমি খেতুরীধাম মেলায় আছি ভাই একটু ব্যস্ত আছি ।”
অন্যদিকে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ফাঁড়ির এস,আই সোনাতন জানান, “অভিযুক্ত শিক্ষক ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেন এবং ছাত্রীদের খারাপ প্রস্তাব দিতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরে স্থানীয় জনতা তাকে হালকা শারীরিকভাবে শাস্তি দিয়ে আটক রাখে। তার বাবা ভুল স্বীকার করে তাকে নিয়ে গেছেন।”
এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবক সমাজ ও সচেতন মহল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, “একজন শিক্ষক যখন ছাত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ করে, তখন তা পুরো সমাজের জন্য লজ্জাজনক। আমরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” স্থানীয় অভিভাবকরা আরও জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড যাতে আর না ঘটে, সে জন্য “অ্যাডভান্স কোচিং সেন্টারটি” স্থায়ীভাবে বন্ধেরও দাবি জানানো হয়েছে।