
সাঘাটা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার শিমুলবাড়ী গ্রামে মাদ্রাসা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক মর্মান্তিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। কামালেরপাড়া ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল আলিমকে প্রকাশ্য রাস্তায় পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং স্থানীয় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য নজরুল ইসলামের নাম উঠে এসেছে। আহত শিক্ষকের পিতা মো. আব্দুর রশিদ (৬৫) বাদী হয়ে এ ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে সাঘাটা সাঘাটা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, মাদ্রাসা সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়মবহির্ভূতভাবে দাবি করেন সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, কিন্তু প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম তা দিতে অস্বীকার করেন। এতে নজরুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষককে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এই বিরোধের জেরেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা করা হয়। গত ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম মেলানদহ ঘাট বাজার থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। শিমুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের পাকা রাস্তায় পৌঁছানো মাত্রই মেম্বার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতিকারী তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এজাহারে উল্লেখিত অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন জাকিরুল ইসলাম (৩২), আরিফুল ইসলাম (৩২), স্বপন মিয়া (২৩), আইয়ুব হোসেন বুলু (৬৯), ও আবু খায়ের (৩৫)।
এ বিষয়ে বাদী আব্দুর রশিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে। আসামিরা আওয়ামী লীগের দোসর ও এলাকার দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, এজাহারটি গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহত অবস্থায় প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল আলিম সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।