
আহসান হাবিব শিবলু, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নারুয়ামালায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিবিসিতে দেওয়া বক্তব্য বড় পর্দায় প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশের উদ্যোগে এবং তার দিকনির্দেশনায় বুধবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের সহযোগিতায় এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাবতলী উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল হাসান রুহিন, নারুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হৃদয় হোসেন গোলজার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাব্বত আলী, সম্রাট মাহারুফ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হযরত আলী, নারুয়ামালা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, প্রচার সম্পাদক জালাল উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক বেলাল আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মহিষাবান ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব উজ্জল সরকার, উপজেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা প্রমুখসহ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী। এম আর হাসান পলাশ বলেন, তারেক রহমানের বিবিসিতে দেওয়া বক্তব্যে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতন্ত্রের অবস্থা এবং জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে তিনি যে কথা বলেছেন, তা দেশের মানুষের হৃদয়ের কথা। তাঁর এই সাক্ষাৎকারে সরকারের অনিয়ম, দমননীতি ও জনগণের কণ্ঠরোধের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। তরুণ প্রজন্ম তাঁর দিকনির্দেশনা থেকে অনুপ্রাণিত হচ্ছে, আর আমরা বিশ্বাস করি তাঁর নেতৃত্বেই দেশ আবার গণতন্ত্রের পথে ফিরবে। রুহুল হাসান রুহিন বলেন,তারেক রহমানের বিবিসি সাক্ষাৎকারে জনগণের মুক্তির বার্তা ও পরিবর্তনের আহ্বান আছে। আমরা তাঁর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাব। মোহাব্বত আলী বলেন, তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারটি দুটি পর্বে মোট ৮২ মিনিট ধরে প্রচারিত হয়েছে। ইউটিউব ও ফেসবুকে অনেকেই দেখেছেন, তবে তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ টিভিতে সম্পূর্ণ বক্তব্য শুনতে পারেননি। তাই আমরা সবাইকে নিয়ে একসাথে তাঁর পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য শুনার সুযোগ করে দিতে এই আয়োজন করেছি। অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন,তারেক রহমানের কথাগুলো আমাদের অন্তরের কথা। তিনি যেভাবে দেশের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন, তাতে আমরা নতুন উদ্যমে আন্দোলনে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। অনুষ্ঠান শেষে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নেতাকর্মীরা।