প্রিন্ট এর তারিখঃ শনিবার ৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯ আশ্বিন, ১৪৩২ ১১ রবিউস সানি, ১৪৪৭

সাঁথিয়ায় এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে মিথ্যা,বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় জনমনে তীব্র অসন্তোষ

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার সাথিয়া সহকারী কমিশনার ( ভূমি )ও পৌর প্রশাসক সাদিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রনোদিত সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সাধারণ জনগণ ও সুশীল সমাজের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। একজন পরোপকারী, সদালাপী, নির্লোভী, স্বার্থহীন মানুষকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। জানা যায়, স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল স্বীয় স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা,বানোয়াট অভিযোগ এনে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রদান করে। সরজমিনে গিয়ে এইসব অভিযোগের কোন সত্যতা মেলেনি। এসব মিথ্যা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ জনগণসহ সুশীল সমাজ। জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের ২০২৪ /২৫ অর্থবছরের টি আর প্রকল্পের প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা পুরোটাই তিনি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করেন। এক্ষেত্রে তার কোন গাফিলতি ছিল না। প্রত্যেকটি কাজ সরেজমিন তাদারকি করা হয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তার কাজে ছিলেন উচ্ছ্বসিত এবং এই প্রথম পৌরসভায় এমন কাজ করা সম্ভব হয়েছে বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করার পর বিল প্রদান করেন। এছাড়াও প্রশাসক এর কাজ শুধু কমিটি অনুমোদন দেয়া, কাজ বুঝিয়ে নিয়ে বিল প্রদান করার দায়িত্ব প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তার এবং কাজ বাস্তবায়নের যথাযথ প্রমাণক তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও অন্যান্য প্রকল্পের কাজ ১০০% স্বচ্ছতার সাথে বাস্তবায়ন করার জন্য সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে, তার মধ্যে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে কাজ বন্ধ করা, কাজের উপকরণ জব্দসহ কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান ইত্যাদির কারণে কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের রোষানলেও পড়েছেন প্রশাসক। মিথ্যা,ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের এটাও কারণ হতে পারে। সাথিয়া পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) সাদিয়া সুলতানা সাথিয়ায় যোগদান করার পর থেকেই ভূমি অফিসের ঘূষ, দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে ছিলেন সদা তৎপর। ভূমি অফিসের মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য থেকে জণগনকে রক্ষা করতে তিনি সবসময় মানুষকে বলেছেন সরাসরি আমার টেবিলে আসুন, না আসতে পারলে ফোন করুন। একটি মহল টাকা দিয়ে তাকে কিনতে না পারায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে যার মূল হোতা ছিল মাছ চুরির মামলার আসামি আশরাফ আলি যার ব্যাপারে সবাই অবগত আছে। মাটি কাটায় উৎকোচ গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন সে এই আশরাফ আলির ই শিষ্য। সাঁথিয়া ভূমি অফিসে জমির নামজারি করতে আসা দেবগ্রাম গ্রামের বাবু হোসেন বলেন, এসিল্যান্ড সাদিয়া সুলতানা আমার নিকট থেকে কোন ঘূষ বা উৎকোচ ছাড়াই আমার জমির নাম জারি সঠিক সময়ে করে দিয়েছিলেন। তার সদালাপ ও সুন্দর আচরণে সবাই মুগ্ধ। গরিগ্রাম গ্রামের হেলাল উদ্দিন জানান, জমির নামজারি এবং কাগজপত্র ঠিক করার জন্য তাকে মাঝেমধ্যে ভূমি অফিসে যেতে হয়। এসিল্যান্ড সাদিয়া সুলতানা কখনো তার নিকট থেকে কোন ঘূষ বা উৎকোচ গ্রহণ ছাড়াই তার কাজ যথা সময় করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে সাঁথিয়া সহকারী কমিশনার ভূমি ও পৌর প্রশাসক সাদিয়া সুলতানা বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের অসৎ স্বার্থ হাসিলের জন্য আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানির চেষ্টা চালাইতেছে। তিনি জানান, গত রমজান মাসে টাউন লেভেল কো অর্ডিনেশন কমিটি এর জন্য উত্তোলনকৃত সমস্ত অর্থই খরচ করা হয়েছিল। কারণ রমজান মাস ছিল লিনিকের সকল সদস্যদেরও দাওয়াত করা হয়েছিল তারা অনেকে না আসায় ৬ টি লিনিকের সভাপতিদের নিকট খাবার হস্তান্তর করা হয় তারা যথাযথভাবে খাবার পৌছে দেয়,এর যথাযথ প্রমাণ আমাদের নিকট আছে। খাস জমি বন্দোবস্ত এর কোন কার্যক্রম ভূমি অফিস থেকে গ্রহণ করা হয় নি। ভূমি উন্নয়ন কর, হোল্ডিং অনুমোদন তহসিল অফিসের কাজ এবং তারা যাতে অতিরিক্ত ফি ছাড়া জণগনকে নামজারিসহ সকল সেবা দেয় সেজন্য দফায় দফায় মিটিং করে তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তারা কেউ অসৎ কাজ করলে তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন