
কে.এন. হাছান:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় আশরাফ উদ্দিন (২৫) নামে এক জুলাই যোদ্ধা হামলার শিকার হয়েছেন। ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের রুপসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারী খোরশেদ আলম কুট্টি (৪২) একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, হামলার শিকার আশরাফ এবং খোরশেদের মাঝে সাত হাজার টাকার একটি লেনদেন রয়েছে। প্রায় ছয় মাস ধরে পাওনা পরিশোধে তালবাহানা করে আসছেন খোরশেদ। সম্প্রতি টাকা আদায়ে খোরশেদের উপর চাপ সৃষ্টি করে আশরাফ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির সামনে রাস্তায় একা পেয়ে অতর্কিত হামলা চালায় খোরশেদ। ধারালো দা দিয়ে কোপ দেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে আশরাফের অন্ডকোষ চেপে ধরে হত্যা চেষ্টা চালায় সে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আশরাফকে উদ্ধার করে এবং খোরশেদকে আটকে রাখে। এ সময় হঠাৎ করে খোরশেদের ভাই সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন এসে হাতে থাকা টর্চ এবং লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে বেশ কয়েকজনকে আহত করে। খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং সেখান থেকে একটি দা জব্দ করেছে। এ ঘটনায় আহত আশরাফ উদ্দিন বাদী হয়ে ৬ জনকে বিবাদী করে বৃহস্পতিবার রাতেই ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। বিবাদী হলেন খোরশেদ আলম কুট্টি(৪২), তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম(৩৭), ছেলে পারভেজ হোসেন(১৮), ভাই মোঃ সিরাজ(৪৫), ভাতিজা মোঃ মারুফ হোসেন(১৮), পিতা আব্দুস সাত্তার(৬৫)।ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে খোরশেদের স্ত্রী হোসনে আরা লেনদেনের সত্যতা স্বীকার করেন। কিন্তু হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ সময় খোরশেদসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা পলাতক ছিলেন। এদিকে আশরাফের উপর হামলা হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। তারা হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।