
মো: জাকির হোসেন: পাবনার ঈশ্বরদীতে দৈনিক বিজয় ও সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মো. মুশফিকুর রহমান মিশনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা মামলার এজাহারভুক্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত ২নং আসামি মো. আকাশ হোসেন ও ৪নং আসামি মো. ফজর আলীকে গ্রেফতার করতে পুলিশ ব্যর্থ বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। আহত সাংবাদিক মো. মুশফিকুর রহমান মিশন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মাসের পার মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ২ নং আসামি মো. আকাশ হোসেন ও মো. ফজর আলীকে গ্রেফতার করতে পারেনি ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালালেও সে এখনো প্রকাশ্যে এলাকায় বেপরোয়া চলাফেরা করছে।” তিনি আরও বলেন, “যুবলীগের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপরে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছিল কিন্তু আমি প্রাণে বেঁচে যায়। মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মো. আকাশ হোসেন ও মো. ফজর আলীকে এখনও গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ। বরং সে প্রকাশ্যে বাড়িতে অবস্থান করছে, অথচ দেখার কেউ নেই। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ করছি দ্রুত তাকে গ্রেফতার করা হোক।” অন্যদিকে আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির এক কর্মকর্তা জানান, মোছাঃ আলেয়া বেগমের ছেলে মো. আকাশ হোসেন একটি মারামারি মামলার আসামি। তবে তিনি দাবি করেন, “আকাশ একজন ছাত্র এবং পরীক্ষার্থী, তাই তাকে ধরা যাচ্ছে না।” তবে এলাকাবাসীর ভাষ্য, আকাশ দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কোথাও পড়াশোনা করে না। প্রতিদিন সকালে মাছের আড়তে গিয়ে মাছ কিনে হাটে হাটে বিক্রি করেন। ফলে পুলিশ যে তথ্য দিয়েছে, মো. আকাশ পরীক্ষার্থী—তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে অভিযোগ করেন তারা। ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আজিজুর রহমান শাহীন দুঃখ প্রকাশ করে জানান, আমাদের একজন সংবাদকর্মীকে সন্ত্রাসীরা মারধর করে গুরুতর জখম করার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।