
আহসান হাবিব শিবলু, জেলা প্রতিনিধি বগুড়া: বগুড়ার গাবতলী মডেল থানায় এক নারী তার অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে অপহরণ ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রতারণা করে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামি জেলার শাজাহানপুর উপজেলার বেড়াগাড়ি গ্রামের গোলাম মোস্তফা ছেলে ঠনঠনিয়ায় অবস্থিত আল- ওহি ন্যাশনাল মাদ্রাসার পরিচালক আলোচিত ইসলামী বক্তা জহুরুল ইসলাম (সাঈদী) (৪১) । এজাহারে বলা হয়, ৩০ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের ভাংঙ্গিরপাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে মাদ্রাসা পরিচালক ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সিএনজি যোগে অপহরণ করে সাবগ্রাম এলাকায় নিয়ে যায় এবং সেখানে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রতারণা করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ঘটনার পরপরই কিশোরীর মা গাবতলী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশি সহযোগিতায় ভুক্তভোগীকে সাবগ্রাম এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকেই প্রধান আসামি জহুরুল ইসলাম পালাতক ছিলেন। পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার গাবতলী মডেল থানার ওসি সেরাজুল হকের নির্দেশে এসআই জাহাঙ্গীর আলম ও সঙ্গী ফোর্সের নেতৃত্বে তার নিজ বাড়ি শাজাহানপুর উপজেলার বেড়াগাড়ি গ্রামের জহুরুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর মা জানান, আমাদের মেয়ে এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমরা চাই আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সেরাজুল হক বলেন, নিজ মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে বিয়ের প্রলোভনে শারিরীক সম্পর্ক করার জহুরুল ইসলাম সাঈদির বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।