
স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের মুশরুত পানিয়াল পুকুর গ্রামের রাহেনা বেগম(৪৩) মানবেতর জীবনযাপন করছে। অন্যের বাসায় আশ্রিত থেকে চলছে তার বসবাস। জানা যায়,৩ নং নিতাই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রাহেনা বেগম এর-দীর্ঘ ১৮ বছর তার বাবা সম্পূর্ণ খরচ বহন করেন। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর থেকে তাঁর জীবন হয়ে উঠেছে এক অপরিসীম সংগ্রাম আর অসহায়ত্বের গল্প। জীবনযুদ্ধে একা লড়াই করছেন এক বৃদ্ধ বিধবা নারী। বসবাস করছেন এক জরাজীর্ণ ভাঙা ঘরে। যা যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। মাথার ওপর জরাজীর্ণ টিনের ছাউনি, দেওয়ালে ভাঙা কাঠ ও বাঁশের অবলম্বন—এ যেন দারিদ্র্যের এক করুণ চিত্র। ১৮ বছর ধরে রাহেনা বেগম স্বামী-সন্তানহীন এক অসহায় জীবন যাপন করছেন। এই অসহায় নারীর জীবন কাটছে অভাব আর কষ্টে। বর্তমানে তিনি বৃদ্ধ মায়ের সাথে এক জরাজীর্ণ, কাঁচা ঘরে বসবাস করছেন, যেখানে টিউবওয়েল নেই, স্বাস্থ্যসম্মত বাথরুম নেই, নিজের কোনো জমি বা স্থায়ী আশ্রয় নেই। তিনি বিধবা ভাতা এবং ভিজিডি কার্ডের সামান্য সহায়তা পান, যা তার দৈনন্দিন জীবন চালাতে সম্পূর্ণ অপ্রতুল। তিনি একা, নিষ্পূত্র,এক বিধবা নারী আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ নির্ভরশীল, এবং প্রতিদিনের খাবারের জন্য সংগ্রাম করছেন। এই অবস্থা খুবই মর্মান্তিক এবং মানবতাবিরধী। এদিকে স্থানীয় বাসিনদারা জানান দীর্ঘ ১৮ বছর থেকে রাহেনা বেগম তার বাবার বাসায় আছেন। বাবার মৃত্যু হলে তিনি এখন খুবই কষ্টে মানাবেতর জীবন যাপন করছেন।