
যুবক অনার্য
পূরবী,সেবার বন্যা হয়েছিলো
জল নয়,মানুষেরা মানুষকে
ডুবিয়ে মেরেছিলো।সেবার
আগুন জ্বলেছিলো। আগুন নয়,
মানুষই মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিলো।
এরপরও কথা থাকে, থেকে যায়- মানুষ মানুষকে ভালো বেসেছিলো।
বেসেছিলো ভালো বোলে
সন্দেহের কীটগুলি
ফসল উৎখাত করবার মতো
তেতে উঠেছিলো! তবু কবিদের কাছে পৃথিবীকে রূপসী নারী মনে হয়,
মনে হয় কুৎসিত রমণী এক -পৃথিবীকে কবিদের কাছে তবু। তারপর ঘুমিয়ে পড়বার মতো ক’রে কখনো মানুষেরা জেগে ওঠে
বুলেটের শব্দ হয় গ্রাম -পতনের মতো।
এখন এখানে কী চলছে
সাম্প্রতিক এ সময়ে! ঘুরে ফিরে
সেইতো হাবিল কাবিল আর সেই তো ভাগ বাটোয়ারা -রাজাদের
রাজা রাণী খেলা!
ইদানিং কে যেনো আবদ্ধ থেকে
ম’রে ট’রে গেলো -এ কথা নাকি বোলতেও মানা । আচ্ছা পুরবী,
তুমিই বলো -এমন কিছুই কি আছে
যা বলতে মানা নেই!
আমি তোমাকে ভালোবাসি -এ কথা বলতে মানা । আমি আমার সিল পছন্দের ডাকবাক্সে ফেলতে চাই –
এ কথা বলতে নিশ্চয়ই রয়েছে বারণ। তবু বলতে যে হবেই -সংখ্যাতত্ত্বে লেগেছিলো সময় সবচেয়ে বেশি
“শূন্যের” আবিষ্কারে
এবং শূন্য সংখাটিই চুড়ান্ত জটিল, তারচেয়ে জটিল হলো – শূন্যতা ;
যেমন -নেতৃত্বের শূন্যতায় ভুগছে বদ্বীপ এই আমাদের!
পুরবী, আমি ছুঁলেই খুব যে
পাপ হয়ে যায়, আমি বোল্লেই নাকি রাধার ঠোঁটে বেজে ওঠে বাঁশি আর কৃষ্ণ সাদা হয়ে যায়, আমি বোল্লেই রাষ্ট্রযন্ত্রের ঘটে যায়
আকস্মিক অ্যাবর্শন!
হলেও,বলতে যে হবেই,
আমাকে বার বার কবিতায়
লিখে যেতে হবে- নিরাপত্তার নামে আমাকে যে খাঁচায় দেয়া হলো পুরে সেখানে অপেক্ষা করে আছে
ক্ষুধার্ত চিতার অশ্লীল চোখ!