
মোঃ রুবেল হোসেন (ঢাকা) সাভার: ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থাকলে আমাদের জবাবদিহিতা আরও বাড়বে, এটা খারাপ কিছু নয় বলে -মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন,এতে করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের অগ্রগতি তুলে ধরাও সহজ হবে।“জাতিসংঘের অফিস থাকলে সেটা একটি স্বচ্ছতার জায়গা তৈরি করে। কে ক্ষমতায় আছে বা আসবে—সেটা মুখ্য নয়, বরং আমরা সরকার হিসেবে মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই সব নাগরিকের অধিকার সংরক্ষিত হোক।” সমাজে জনরোষ বা মবের ঘটনা বাড়ার পেছনে নানা কারণ থাকে। এসব কারণ চিহ্নিত করে প্রতিকার করা গেলে সেসব ঘটনা কমবে। সরকার কোনো অবস্থায় অপ্রয়োজনীয় দমনমূলক নীতি গ্রহণে আগ্রহী নয়, সাভারের গণস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচএ ভবনে আয়োজিত ‘জুলাই স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা’য় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফরিদা আখতার বলেন, তিনি আরও বলেন, “বিগত সরকারগুলোর আমলে আমরা দেখেছি কিভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। সেই সময় জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো প্রতিবেদন করেছে, দলিলভিত্তিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। যার ফলে সেসব সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রমাণিত হয়েছে।” বর্তমান সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার কারও প্রতি অহেতুক কঠোর হতে চায় না। কখনও কখনও যখন পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী অতিরিক্ত কিছু করে ফেলে, তখনও আমরা চেষ্টা করি সহনশীল আচরণ বজায় রাখতে।” আলোচনা সভায় গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মৃতিচারণ করেন বিভিন্ন বক্তা। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।