
মো: মিজানুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার : ২৫ জুলাই শুক্রবার মির্জাপুর উপজেলাধীন মশাজান গ্রামে মর্মান্তিক এই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। মির্জাপুর থানা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে কোদাল দিয়ে নিজ জমির আইল কেটে ঠিক করছিল ইউনুস (২৫) নামের এক যুবক। দুপুর বেলার প্রখর রোদে কায়িক পরিশ্রমের কাজ করতে গিয়ে তার প্রচন্ড ক্ষুধা পায়। বিকালে বাড়ি ফিরে মা ফুলমালা বেগম (৫৫) এর কাছে খাবারের কথা বললে মা ভীষণ রাগান্বিত হয়ে বলেন, বাড়িতে তো আরো অনেক কাজ পড়ে আছে। এখনই খাবার খেলে বাকি কাজগুলো কি আমি একাই করবো ? ইউনুস আর কোন কথা না বলে গোসলে চলে যায়। গোসল শেষ করে বাড়িতে ফিরে এলে মা তার শরীরে কাদা দেখতে পেয়ে বলেন, তোমার তো ঠিকমতো গোসল করাও হলো না শরীরে কাদা লেগে আছে। আর বাড়িতে কাজগুলো পড়ে আছে কাজগুলোও শেষ হলো না।এভাবে তোমাকে নিয়ে আমি আর চলতে পারব না। ইউনূসের পেটে তখন ক্ষুধার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছিল। প্রচন্ড ক্ষুধার্ত ইউনুস একপর্যায়ে মায়ের সাথে ভালো রকম বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে।হাত দিয়ে গলায় প্রচন্ড জোরে চেপে ধরে মাকে সে মাটিতে ফেলে দেয়। তারপর ক্ষিপ্ত ইউনুস পাশে পড়ে থাকা একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে মায়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপুরি আঘাত করে। চোখের সামনে মাকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখে ইউনুস। তখন তার মনে সামান্যতম অনুশোচনার জন্ম হয়, সে ভাবে আমি আমার মাকে মেরে ফেললাম, আমি এটা কি করলাম। সে মির্জাপুর থানায় স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে বলে আমি আমার মাকে মেরে ফেলেছি। মির্জাপুর থানায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি রেকর্ড করে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। নিহত ফুল মেলার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাংগাইল মর্গে প্রেরণ করা হয়। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই খুনের ঘটনায় এলাকার মানুষ হত বিহবল হয়ে পড়েছে।