প্রিন্ট এর তারিখঃ বুধবার ২৩শে জুলাই, ২০২৫ ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ ২৭শে মহর্‌রম, ১৪৪৭

গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চোরচক্রের হানা – ১৫ দিনে দুই নারীর গলার স্বর্ণের চেইন ছিনতাই, এক মহিলা চোর আটক

আহসান হাবিব শিবলু, গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা নারী রোগীদের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে পরপর দুইবার। দুটি ঘটনার মধ্যে একটিতে এক মহিলা চোরকে আটক করা সম্ভব হলেও অপর ঘটনাটিতে চোর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এতে করে এলাকার মানুষ চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

প্রথম ঘটনা – ৯ জুলাই বড়সাগাটিয়া গ্রামের মোছাঃ রেজিয়া বেগম (৫৫) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য এসে টিকিট লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় অজ্ঞাত নারী তার গলার ১১.১৫ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে রেজিয়া বেগম গাবতলী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

২য় ঘটনা ২২ জুলাই মঙ্গলবার হাপানিয়া গ্রামের মোছাঃ বুলবুলি বেগম (৪৫) তার পুত্রবধূকে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে এসে টিকিট লাইনে দাঁড়ান। এ সময় সায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জের বাসিন্দা মোছাঃ মিনারা বেগম (৪০) তার গলার ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে বুলবুলি বেগম সাহসিকতার সাথে তাকে ধরতে সক্ষম হন। মিনারাকে তাৎক্ষণিক ধরে ফেললেও সে চেইন চুরির অভিযোগ অস্বীকার করে। ধারণা করা হচ্ছে, সে সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সদস্য এবং চেইনটি তার সঙ্গীদের কাছে হস্তান্তর করে দেয়।

থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি মামলাই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেরাজুল ইসলাম বলেন:উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরপর দুটি চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক ঘটনায় এক নারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে, যার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশি তদন্ত চলছে। জনগণকে সচেতন থাকার পাশাপাশি সন্দেহজনক কাউকে দেখলে দ্রুত থানায় জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।”

সচেতনতা ও দাবি একই জায়গায় একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতাল ও কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর। রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ও সন্দেহভাজন নারীচক্রের ওপর নজরদারির দাবি উঠেছে।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন