প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭

চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস জোড়া খুন ও ডাকাতির রহস্য উদঘাটন: বগুড়ায় মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৩ ডাকাত গ্রেফতার

 আহসান হাবিব শিবলু, বগুড়া: বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানার লক্ষীমন্ডপ গ্রামে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস ডাকাতি ও জোড়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। হত্যা ও ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারীসহ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ৮ জুলাই দিবাগত রাতে লক্ষীমন্ডপ গ্রামে আফতাব উদ্দিন নামের এক বৃদ্ধ ও তার পুত্রবধূ রিভাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই সময় বাড়িতে থাকা শিশু রুকাইয়া তাসনিম মালিহাকে চিৎকার না করার হুমকি দিয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত আফতাব উদ্দিনের মেয়ে তহমিনা বিবি ১০ জুলাই দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৮/২০২৫)। বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা, পিপিএম-এর নির্দেশে মামলাটি তদন্ত শুরু করে জেলা ডিবি পুলিশ। অফিসার ইনচার্জ ডিবি মো. ইকবাল বাহারের তত্ত্বাবধানে পরিদর্শক মো. রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত একটি চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে। ১৪ জুলাই ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামলার মূল পরিকল্পনাকারী ডাকাত সর্দার মো. আব্দুল হাকিম (৩৪) ও মো. আব্দুল মান্নান (৫০) কে। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় ১ জোড়া স্বর্ণের দুল, ২ জোড়া সিটি গোল্ড চুড়ি, ২টি সিটি গোল্ড আংটি, নগদ ৭,৫০০ টাকা, ২টি মোবাইল ও একটি হাতঘড়ি। পরদিন ১৫ জুলাই কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার চর জামাল গ্রামে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় মামলার আরেক আসামী মো. রফিকুল ইসলাম (৪১) কে। পুলিশ জানায়, গ্রেফতার আব্দুল মান্নান পূর্বে নিহত আফতাব সাহেবের সেচ পাম্পে কাজ করতেন। তাকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে সে পরিকল্পিতভাবে ডাকাত সর্দার হাকিম ও অন্যান্যদের সঙ্গে এই ভয়াবহ ঘটনার ছক আঁটে। রাতের আঁধারে পেয়ারা গাছ বেয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে তারা খুন ও ডাকাতি চালায়। ডিবি আরও জানায়, গ্রেফতার ডাকাত সর্দার আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে ৭টির বেশি এবং রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২টি মামলা পূর্ব থেকেই বিচারাধীন। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন