পলাশবাড়ীতে গণপিটুনিতে নিহত সেরেকুলের দাফন পুলিশ প্রহরায় সম্পন্ন ।গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলায় চান্ঞ্চল্যকর শিশু বায়েজিদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি গণপিটুনিতে নিহত সেরেকুলের দাফন পুলিশি প্রহরায় সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা বালুখোলা গ্রামে তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহার, পলাশবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাত, জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মোখলেছুর রহমানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা বলেন, যেহেতু দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা একই এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলমান রয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ দাফনের জন্য এলাকায় নিয়ে আসার পর যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়নে নিহতের মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গত শনিবার আনুমানিক ৭ থেকে ৮টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্দা চৌরাস্তা বাজারের মুকুলের হোটেলে সেরেকুলের অবস্থান টের পেয়ে বালুখোলা গ্রামের সহস্রাধিক উত্তেজিত নারী-পুরুষ সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। উত্তেজিত জনতা এক পর্যায়ে সেরেকুলকে টেনে-হিঁচড়ে হোটেল থেকে বের করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এরপরে স্থানীয়রা অবস্থা বেগতিক দেখে থানায় পুলিশে খবর দেয়। এখবর পেয়ে পলাশবাড়ি থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে সেরেকুলকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ওই দিনেই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। পরে রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে নিহত সেরেকুলের ছেলে মোকছেদুর রহমান বিদ্যুৎ বাদি হয়ে পলাশবাড়ি থানায় শিশু বায়েজিদের বাবা প্রবাসী তাহারুল ব্যাপারিকে প্রধান আসামি করে আরও ৩৫ জন এবং অজ্ঞাত নামা ১৫ হতে ২০ জনকে আসামি করে একটি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।