প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫ ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

নওগাঁর মান্দাসহ বিভিন্ন উপজেলায় নিষিদ্ধ চাইনা হাজার দুয়ারি রিংজালে নিধন করা হচ্ছে দেশিয় প্রজাতির পোনামাছ

 উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দাসহ বিভিন্ন উপজেলায় খাল বিল নালা ডোবা রাস্তার ধারের- নয়নজলী ও আত্রাই এর শিব নদ,ছাতড়াবিল বিলহিলনা, বিলমান্দা এবং আশপাশের বিভিন্ন খাল-বিলে মহাদেবপুর উপজেলার বামনছাতা ছাতড়া বাগডোব, দক্ষিণলক্ষ্মী গনেষপুর ঝিকড়া চকচকা ভূতলা-ভীমপুর ঝাড়িলা-তেজবাইন খোর্দ্দনারায়নপু-নাটাহার ব্রীজে নয়নজলী.ঋষি-পাড়ার অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ রিংজাল, ঘেরজাল, কচাল ও ঘূর্ণিজাল। এসব জালে প্রতিনিয়ত ধরা হচ্ছে বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল, টেংরা, পুঁটি, শিং, কৈ, চিংড়ি ও গুঁচিসহ নানা প্রজাতির দেশিয় মাছের পোনা। এতে একদিকে যেমন মাছের উৎপাদন কমছে, তেমনি বিলুপ্তির মুখে পড়ছে বহু দেশিয় প্রজাতি মাছের ভাণ্ডার। এরই মধ্যে হারিয়ে যেতে বসেছে পাতাশি, বাঁশপাতাড়ি, ইটা, গাগর, কালবাউস, দারিসহ কিছু দুর্লভ প্রজাতি মাছ। আত্রাই নদীতে এখন টেংরা মাছও আর তেমন দেখা যায় না। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, পোনা মাছ নিধন ঠেকাতে নিয়মিত অভিযান চালানোসহ নিষিদ্ধ জালের বিক্রি বন্ধ এবং জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি। না হলে একদিন হয়তো দেশিয় প্রজাতির মাছ থাকবে কেবল স্মৃতিতে। উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি কমে গেলে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মা মাছ শিকারের মহোৎসব চলে। বর্ষা এলেই শুরু হয় পোনা মাছ নিধন। কারেন্ট, রিংজাল, কচালসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করছে শিকারিরা। মৎস্য অফিসের তেমন কোনো তদারকি নেই। দিন দিন কমে যাচ্ছে মাছ।’ একই অভিযোগ করেন গোপালপুর বাজারের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম শহীদ। তিনি বলেন, ‘বিলমান্দা থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে দেশিয় মাছের পোনা ধরে গোপালপুরসহ বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। মা মাছও ধরা হচ্ছে এসব জালে। এভাবে চললে আগামিতে দেশিয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’ রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার পারিলাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুক জানান, ‘নিষিদ্ধ জালে প্রতিদিন বিলহিলনা থেকে ধরা হয় প্রচুর পরিমাণে দেশিয় জাতের পোনামাছ। এসব মাছ পারিলাডাঙ্গা আড়তে প্রকাশ্যে বেচাকেনা চলে। পরে এখান থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায়।’ উপজেলার পরানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টি উপজেলা মৎস্য অফিসকে অবহিত করেছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দিপংকর পাল বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো হবে। এরপরও যদি কেউ নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন