
সাগর সরকার মিনু,স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধা পলাশবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু যোগদান করার পর থেকেই হেন কোন অনিয়ম দুর্নীতি নেই যে তিনি করেন নি। আজ জাতীয় ফল মেলার উদ্ভোধন কালে শুধু মাত্র দাপ্তরিক কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে বাজার থেকে ক্রয় করা ফল দিয়ে এই মেলার উদ্ভোধন করায় প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছেন এই কৃষি কর্মকর্তা। অথচ সরকারি নিতিমালা অনুযায়ি এবং সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরতে গনমাধ্যম কর্মিদের ভুমিকা অপরিসীম। এসব কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই তিনি কোন কৃষক এবং গনমাধ্যম কর্মিদের না জানিয়ে মনগড়া ভাবে করছেন এই মেলা। স্থানীয় সংবাদ কর্মী এবং কৃষকদের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এর আগে জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় দৃশ্যমান অনিয়ম দুর্নীতির কারনে সেখান থেকে বদলি করে পলাশবাড়ী উপজেলায় যোগদান করে। এখানে যোগদান করার পর থেকেই যেন আরো বেড়েছে অনিয়ম দুর্নিতি তারই ধারাবহিকতায় কৃষি সরঞ্জামাদি বিতরনে অনিয়মের পাশাপাশি কৃষকের জন্য বরাদ্দকৃত সকল সরকারি সুযোগ সুবিধা নিজেই ভোগ করছেন। তথ্য সুত্রে আরো জানা গেছে এই কর্মকর্তা চাকুরিতে যোগদানের সময়ই ভুয়া কাগজ পত্র দিয়ে যোগদান করেছেন এবং এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে আসার তারিখ নির্ধারন করেছে।। শুধু তাই নয় তথ্য অধিকার আইনে সংবাদ কর্মীরা জেলা কৃষি কর্মকর্তার চিঠি সম্বলিত আবেদন করলেও তথ্য অধিকার আইন এবং জেলা কর্মকর্তাকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন অনিয়মের পথ। আরো জানা গেছে এই দুর্নীতিবাজ কৃষি কর্মকর্তা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষে কাজ করছেন, এবং সে কারনেই কৃষি অফিসের ওয়েব সাইডে এখন দৃশ্যমান সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির ছবি। গনমাধ্যম কর্মীরা এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা কোন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মুখ টিপে হাসতে থাকেন। তার এই নিরবতায় প্রমান করে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ সত্য। এ ছাড়াও তার চাকুরিতে যোগদানের সময় কালীন মুক্তিযোদ্ধা কোঠার বিপরীতে জমাকৃত কাগজ অনুসন্ধানে জানা গেছে প্রকৃত জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ টি এবং মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৪ টি কাগজ থাকার কথা থাকলে মুক্তিযোদ্ধা ওয়েব সাইডে শুধু মাত্র একটি কাগজ পাওয়া যায় এবং সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ তালিকায়। এ বিষয়ে আরো জানা গেছে তার বাবার কাগজ জাল হবার কারনে একবার বাতিল হয়েছিল। এই ভাবে জাল কাগজ পত্র দিয়ে চাকুরিতে যোগদানের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি আজ আসার কথা থাকলেও কোন কারনে আসেনি। এসময় উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলমের সাথে কথা বললে তিনিও দু:খ প্রকাশ করে বলেন, যদিও আমি এখানে নতুন তার পরও কৃষি কর্মকর্তার অনিয়মের বিষয় গুলো অবগত হয়েছি এবং আজকের যে বিষয় টি এটি সঠিক হয় নি, কেননা সংবাদ কর্মীরা সমাজের আয়না তাদের মাধ্যমে সরকারের সকল উন্নয়ন মুলক কাজের চিত্র সাধারন মানুষ জানবে সেখানে যাদের জন্য আয়োজন এই ফল উৎসব সেই কৃষকদের অনুপস্থিতি এটি দৃষ্টি কটু। অনিয়ম দুর্নীতিতে জর্জড়িত এই আওয়ামী দোসর কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা সহ সকল অনিয়মের অবসান করে কৃষক বান্ধব কোন কৃষি কর্মকর্তা এই উপজেলার দায়িত্বে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা উপজেলা বাসী এবং সুধী সমাজের।