মো: মিজানুর রহমান ,স্টাফ রিপোর্টার টাঙ্গাইলের: মির্জাপুরে সরকারি খাস জমি দখলমুক্ত করণের লক্ষ্যে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ৩ জুন মঙ্গলবার মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো:মাসুদুর রহমান এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টা নাগাদ এই অভিযান চলে। মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন এর বংকুরি গ্রামে অবৈধভাবে সরকারি ভূমি দখল করে আধাপাকা স্থাপনা নির্মাণ পূর্বক স্বপরিবারে বসবাস করে শুরু করেন আব্দুল করিম মিয়া(৫০) নামের এক ব্যক্তি। মির্জাপুর উপজেলা ভূমি অফিস হতে বার বার নোটিশ প্রদান করা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তি অবৈধভাবে দখল করা ভূমি ছেড়ে দিতে রাজি হননি।অবৈধভাবে সরকারি জমি দখলের অপরাধে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ মোতাবেক করিম মিয়াকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড একই সঙ্গে তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: মাসুদুর রহমান। জানা গেছে, করিম মিয়া সরকারি ৭০শতাংশ খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে দুটি ঘর নির্মাণ করেছিলেন। ওই ভূমির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। জানা গেছে, উপজেলা বাঁশতৈল ইউনিয়নের বংকুরি মৌজায় সরকারি খাস জমি দখল করে অবৈধভাবে দুটি ঘর নির্মাণ করছিলেন আব্দুল করিম। খবর পেয়ে বাঁশতৈল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা (নায়েব) তাকে ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করেন। নিষেধ অমান্য করে তিনি ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রাখেন। বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান এর নজরে এলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করেন। এরপরও করিম মিয়া অবৈধ ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ না করে প্রশাসনকে হুমকি দেন। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সরকারি ৭০ শতাংশ খাস জমি দখলমুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান বলেন,আমি সরকারি বিধি মোতাবেক সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে এই অভিযান পরিচালনা করে সরকারি জমি দখল মুক্ত করেছি। দেশ ও জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে।