প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাউনিয়ার শেষ ভরসা  টর্চ লাইট ও মোমবাতি

 মাটি মামুন ,রংপুর : রংপুরের  কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  তেলের অভাবে চালু হচ্ছে না জেনারেটর,নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে  অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে জেনারেটরটি। লোডশেডিংয়ের সময় বন্ধ থাকছে অস্ত্রোপচার। টর্চ কিংবা মোমবাতি জ্বালিয়ে চলে হাসপাতালের কার্যক্রম। রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। জানা গেছে রোগীদের সেবামান বাড়াতে  ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টি,এছাড়া রোগীর অপারেশনসহ বিভিন্ন সময়ে নির্বিঘ্নে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে হাসপাতালে অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর বরাদ্দ দেওয়া হয় ২টি, এর মধ্যে একটি সচল  থাকলে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে প্রায় তিন বছর যাবত এখনো  মেরামত হয়নি অন্য ১ টি জেনারেটর, পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। জেনারেটরটি, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে দুর্ভোগে পড়ছেন রোগী ও স্বজনেরা। তবে জ্বালানি তেলের প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে জেনারেটরটি। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে দুর্ভোগে পড়ছেন রোগী ও স্বজনেরা। প্রায়ই বন্ধ থাকছে অস্ত্রোপচারও। হাসপাতালে আসা রোগীরা বলছেন, এত কোটি টাকা খরচ করে হাসপাতাল ভবন তৈরি করা হয়েছে, মেশিন বসানো হয়েছে। কিন্তু জেনারেটরই যদি না চলে এগুলোর দরকার কী? রোগীদের অপারেশনের সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর না থাকায় কাজ বন্ধ হয়ে থাকে। ভোগান্তির কোনো শেষ নেই, লোডশেডিংয়ের সময় মোমবাতি ও টর্চ লাইট জ্বালিয়ে জরুরি সেবা দিতে হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া একাধিক রোগীরা জানান সারা দিনে  কয়েকবার  বিদ্যুৎ যায়। আমাদের এই গরমে অনেক সমস্যা হয়। দিনের বেলা কষ্ট করে থাকলেও রাতে বেশি সমস্যা। হাসপাতালে কোনও জেনারেটর নেই। রাতে কারেন্ট চলে গেলে পুরোই অন্ধকার হয়ে যায়। চিকিৎসা নিতে এসে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি আমরা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের আত্মীয়-স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতালের মতো এমন একটি জায়গায়  কারেন্ট চলে গেলে  রোগীদের জন্য বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেই।দিনের বেলা পাখা দিয়ে বাতাস দিয়ে কোন রকম চলা যায়। রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো হাসপাতাল অন্ধকার হয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  নাম প্রকাশে  অনিচ্ছুক একাধিক মেডিকেল অফিসারা জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে অনেক গরম লাগে কারণ জেনারেটর থাকলেও তা চলে না। রোগীদেরও কষ্ট হয় তখন। হাসপাতাল পুরো অন্ধকার হয়ে গেলে মোমবাতি ও টর্চ লাইট জ্বালিয়ে জরুরি সেবা দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি হাসপাতালে রোগীদের কথা চিন্তা করে লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর বা অন্য কোনো উপায়ে ফ্যানগুলো চালানোর ব্যবস্থা করা, যাতে অন্তত রোগীদের কষ্ট কিছুটা কমে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা সুজয় সাহা জানান,জনবল সংকট ও তেলের বরাদ্দ না থাকার কারণে জেনারেটর  চালানো সম্ভব হচ্ছে না, এমার্জেন্সি সহ কয়েকটি রুমে  আইপিএস এর ব্যবস্থা রয়েছে, বিষয়টি  ঊর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন