প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭

বগুড়া গাবতলী দূর্গাহাটা মাটিয়েন চড়া শ্রীশ্রী শ্যামা কালী শ্রীশ্রী শিব ও চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত

আহসান হাবিব শিবলু, গাবতলী, বগুড়া: (১৪ মে বুধবার) বগুড়া গাবতলী দূর্গাহাটা মাঠিয়ানচড়া স্বর্গীয় হিমন্ত বাবু প্রাং এর বহির্বাটিস্থ শ্রীশ্রী শ্যামা ও শ্রীশ্রী শিব কালি মন্দির আঙ্গিনা চৈত্র সংক্রান্তির দিনটিকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হলো চরক পূজা। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি বগুড়া জেলা বিএনপি সহ সভাপতি, গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জনাব মোর্শেদ মিল্টনের এর পক্ষে বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, ও গাবতলী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ এনামুল হক নতুন, উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন : শ্রী প্রদীপ কুমার টোটন, সাবেক সভাপতি, দুর্গাহাটা ইউনিয়ন যুবদল, সহ সভাপতি শ্রী সুশীল প্রাং, সভাপতি পুজা পরিচালনা কমিটি। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব এম.আর হাসান পলাশ,সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া জেলা ছাত্রদল। জনাব মোঃ সিরাজুল হক অফিসার ইনচার্জ, গাবতলী মডেল থানা। জনাব এস.এম রাঙ্গা সাধারণ সম্পাদক, গাবতলী উপজেলা ছাত্রদল। জনাব আলী আকবর, সভাপতি, দুর্গাহাটা ইউনিয়ন বিএনপি। জনাব মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ,সাধারণ সম্পাদক, দুর্গাহাটা ইউনিয়ন বিএনপি। জনাব মোঃ আমিনুর ইসলাম বাবু,আহবায়ক, দুর্গাহাটা ইউনিয়ন যুবদল। জনাব মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল,যুগ্ম আহবায়ক, দুর্গাহাটা ইউনিয়ন যুবদল। জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন (সাদ্দাম),মেম্বার, ০৫নং ওয়ার্ড দুর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদ। আব্দুল হালিম, যুগ্ন আহবায়ক পৌর যুবদল। মোক্তাদির, পৌর যুবদল নেতা। জনাব সুজল চন্দ্র দেবনাথ, এস.আই, গাবতলী মডেল থানা, বগুড়া। চড়ক খেলা পরিচালনায় চিলেন শ্রী নকুল সন্ন্যসী। চড়ক পূজা সম্পর্কে জানা যায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রাচীন এই লোকজ উৎসব এটি। চড়ক পূজা, যা বাংলার হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, তার উৎপত্তি প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার সাথে সম্পর্কিত। এটি মূলত কৃষির দেবতা বা প্রকৃতির আরাধনা হিসেবে শুরু হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল কৃষকের জন্য ভালো ফলন ও সমৃদ্ধি কামনা করা। প্রাচীন হিন্দু সমাজে, কৃষিকাজ এবং মৌসুমী বৃষ্টির উপর অত্যন্ত নির্ভরশীলতা থাকায়, এই পূজার মাধ্যমে প্রকৃতি ও কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত দেবতাদের প্রার্থনা করা হতো। চড়ক পূজার ঐতিহ্য পূর্ববঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলে বিশেষভাবে প্রচলিত ছিল। কৃষকরা এই পূজার মাধ্যমে তাদের ফসলের ফলন, জীবিকা এবং সমৃদ্ধি কামনা করত। চড়ক পূজা এমন এক আচার যা বিশেষত বসন্ত বা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মৌসুমে অনুষ্ঠিত হতো, যখন কৃষকরা নতুন ফসলের আশায় প্রাকৃতিক শক্তির কাছে প্রার্থনা করত। এই পুজোর কিছু বিশেষ প্রথা রয়েছে, যা আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা হয়। যেমন, জ্বলন্ত কয়লার ওপর দিয়ে হাঁটা, ছুরি এবং কাঁটার ওপর লাফানো, কুমিরের পুজো, শিবঠাকুরের বিয়ে, আগুনের উপর নাচ, শরীর বাণবিদ্ধ করে চড়কগাছে দোলা ইত্যাদি। এই পুজোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল দৈহিক যন্ত্রণা। একে এই পুজোর এক বিশেষ অঙ্গ বলে মনে করা হয়। উক্ত চরক পূজা বা খেলা দেখতে আশে পাশের গ্রাম সহ দূর দরন্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ এসেছিল।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন