
মোঃ ফরহাদুল ইসলাম , স্টাফ রিপোর্টার: শুক্রবার বন্ধের দিনে কারখানা খোলা রেখে কাজ করার সময় দুপুরের বিরতির সময় হবার কয়েক মিনিট আগে কর্মস্থল ত্যাগ করতে চান শাহ আলম। এমন অভিযোগ তুলে শাহ বলমকে মারধর করেন কারখানার এক কর্মকর্তা ও সহযোগীরা। নির্যাতনের তীব্রতায় শাহ আলম অচেতন হয়ে পরেন। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে তার সহকর্মীরা রাস্তায় নেমে আসেন। এতে আশেপাশে এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটা ঘটেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লি বিদ্যুৎ এলাকায় লিবার্টি নীট ওয়্যার লিমিটেড নামের পোষাক কারখানায়। মারধরের শিকার শাহ আলমের সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি পল্লী বিদ্যুৎ মোল্লাপাড়া এলাকার লিবার্টি নীটওয়্যার লিঃ কারখানার আয়রন বিভাগের কর্মী। শুক্রবার জুমার নামাজের প্রস্তুতিকালে নির্ধারিত সময়ের কয়েক মিনিট পূর্বে তিনি তার কর্মস্থল ত্যাগ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ফিনিশিং ম্যানেজার সানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পারভেজ,মিজান,সবুজ কালো গ্লাসে ঘেরা রুমে নিয়ে মারধর শুরু করেন। তাদের সংঘবদ্ধ মারধরের কারণে অচেতন হয়ে পরেন শাহ আলম। ঘটনা জানাজানি হলে অচেতন অবস্থায় সহকর্মীরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করলে কারখানায় তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পরে এবং অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে শাহ আলমের সহকর্মী এবং শ্রমিকেরা রাস্তায় অবস্থান নেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শাহ আলম কে আন্দোলনকারীদের সামনে নেওয়া হলে বিক্ষোভ কিছুটা শান্ত হয়। এমতাবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। ২৬/৪/২০২৫ ইং রোজ শনিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। মালিক পক্ষ শ্রমিকদের সকল দাবী সমূহ পূরণের আশ্বাস প্রদান করেন এবং শ্রমিক পক্ষ যথাসময়ে কাজে যোগদানের অঙ্গীকার করেন। এরপর শ্রমিকরা তাদের অবস্থান তুলে নিয়ে ২৭/০৪/২০২৫ ইং তারিখ থেকে কাজে যোগদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘরে ফেরেন। আলোচনায় অভিযুক্ত ফিনিশিং ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন সহ বাকিদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে বলেও জানানো হয়।