
মাটি মামুন, রংপুর: উত্তরাঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষের চিকিৎসা সেবার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে থেকে আর টি এ, ফিজিক্যাল অ্যাসাল ও জেনারেল রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন এ হাসপাতালে,তাদের মধ্যে আর টি এ ও ফিজিক্যাল অ্যাসাল রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে আইনি ও কাগজের জটিলতায় সেই লাশ পোস্ট মডেম করার জন্য হিমঘরে রাখতে হয়। আর এই হিমঘরের ফ্রিজগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। যার কারনে বাধ্য হয়ে লাশ মেঝে ও ট্রলি তে রাখতে হচ্ছে। এতে করে লাশ পচন ও লাশের শরীরে অঙ্গ পতঙ্গ হানি হচ্ছে ইদুরের কারণে, ফলে প্রচণ্ড দুর্গন্ধে হিমঘরের আশপাশ দিয়ে চলাচল করাই দায় হয়ে পড়েছে। তবে দু-একদিনের মধ্যেই ফ্রিজ মেরামতের কাজ শুরু হবে করে দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেল এখন পর্যন্ত ফ্রিজ মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি হাসপাতাল প্রতিপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিতে প্রতিদিনই প্রায় ২২শত রোগীর চিকিৎসার সেবা দেয়া হয়। গড়ে প্রতিদিন এ হাসপাতালে ৭ থেকে ৮ জন রোগী মারা যায়। মারা যাওয়া বেওয়ারিশ ও মামলা সংক্রান্ত কারণে অনেক লাশ হাসপাতালের ডেথ হাউজ বা হিমঘরের ফ্রিজে রাখতে হয়। হাসপাতালের নিচতলার পশ্চিম কোণে অবস্থিত ডেথ হাউজটিতে ফ্রিজ রয়েছে চার টি। হঠাৎ ৪ টি ফ্রিজই বিকল হয়ে পড়ায় এতে করে সংরক্ষিত লাশগুলোতে পচন ধরেছে। দুর্গন্ধে হাসপাতাল কর্মী,রোগী ও স্বজনরা খুবই বিরক্ত। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন মাহমুদ আলী জানান,লাশ পচা দুর্গন্ধে ডেথ হাউজের পাশ দিয়ে চলাচল করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। নাকে রুমাল চেপেও কাজ হচ্ছে না। পুরো পরিবেশই নষ্ট হচ্ছে এই দুর্গন্ধে। হিমঘরের কর্তব্যরত ডোম মানু লাল জানান,ফ্রিজগুলো প্রায়ই নষ্ট থাকে তবে অনেকদিনের পুরনো হওয়ায় এবার সব ফ্রিজ একসঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে। ডেথ হাউজের কর্মচারী ফারুক বলেন,ফ্রিজ নষ্ট হওয়ার বিষয়টি আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. ব্রিগেডিয়া জেনারেল আশিকুল রহমানের সাথে কথা হোলে তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে আছে মর্গের ফ্রিজ গুলো,আমি অত্র হাসপাতালে আশার পর বিভিন্ন বিষয় গুলো সমাধান করার চেষ্টা করছি এবং মর্গের ফ্রিজ গুলো ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে অবগত করা হয়েছে আমরা আশা করছি অল্পকিছু দিনের ভিতর মর্গের ফ্রিজ গুলো ঠিক হবে।