প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫ ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১২ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

বগুড়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য প্রদানে অনিহা

বগুড়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য প্রদানে অনিহা ।পেশাগত দায়িত্ব পালনে তথ্য সংগ্রহে বগুড়ার পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগীতার অভিযোগ তুলেছেন “আজকের পত্রিকা” নামক একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার বগুড়া শেরপুর উপজেলা প্রতিনিধি রঞ্জন কুমার দে। মৌখিকভাবে তাৎক্ষনিক তথ্য দেয়ার মতো হলেও, তথ্যগুলো পেতে তাঁকে তথ্য অধিকার আইনের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়েছে বলছেন ওই সাংবাদিক। এটাকে সংবাদ সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতা বলে দাবি করেছেন তিনি। বুধবার(১১অক্টোবর) তথ্য অধিকার আইনের নির্ধারিত ফরমে তথ্য চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। জানা যায়, বগুড়া শেরপুর উপজেলায় প্রায় ৪ বছর ধরে একটি কারখানার বিরুদ্ধে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ তুলেছেন এলাকার জনগণ। তাদের দাবি কারখানাটির বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে এলাকার নদী, মাটি, বায়ু ও ভূগর্ভস্থ পানি দূষিত হয়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে তারা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করেছেন। ওই প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করতেই পরিবেশ অধিদপ্তরে তথ্যগুলো চেয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। আবেদনে সূত্রে জানাযায়, প্রতিষ্ঠানটিকে পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয় থেকে গত ১০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে ৬মাস মেয়াদী পরিবেশতগত ছাড় পত্র প্রদান করা হয়েছে। গত ৬ জুন ২০২৩ তারিখে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট শাখা কর্তৃক পরিবেশ দূষণের দায়ে শুনানি গ্রহণক্রমে প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে ও গত ২২ জুন ২০২৩ তারিখে তদন্ত কমিটি কারখানা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কারখানা এখনও চালু আছে। কারখানাটির সহকারি ব্যবস্থাপকের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা আপিল করেছেন এবং আপিল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কারখানা চালু রাখার নির্দেশনা রয়েছে। আবেদনে সাংবাদিক রঞ্জন কুমার দে জানতে চান, ক) ১০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে পরিবেশগত ছাড় পত্র প্রদান করার সময় কারখানাটির বিধিমোতাবেক ব্যবস্থাপনা যথাযথ ছিলো কিনা। খ) গত ৬ জুন ২০২৩ কী কী কারণে কারখানাটিকে দন্ড ও বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে? গ) কারখানার সহকারি ব্যবস্থাপক জাহিদুল হাসান শিশিরের দাবি অনুযায়ী তাঁরা কী ধরণের আপিল করেছেন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক কারখানা চালু রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে কিনা? ঘ) ২২ জুন ২০২৩ তারিখে তদন্ত কমিটি কারখানা পরিদর্শন শেষে যে প্রতিবেদন দিয়েছেন তার কপি। সাংবাদিক রঞ্জন কুমার দে বলেন, আমার চাওয়া তথ্য গুলো মৌখিকভাবে তাৎক্ষণিক জানানো সম্ভব ছিলো। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তথ্য দেওয়ার কথা বলে কালক্ষেপন করেছেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তথ্য অধিকার আইনের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে পরামর্শ দিয়েছেন বগুড়া জেলার সহকারী পরিচালক মাহথীর বিন মোহাম্মদ। এ বিষয়ে জানতে পরিবশে অধিদপ্তর বগুড়া এর পরিদর্শক মিকাইল হোসাইন এর নাম্বারে একাধিকবার কল করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন