
মোঃ ইউসুফ আলী ,দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জের জয়গঞ্জ খেয়াঘাটে আবারো বালুমহাল ইজারা দেওয়ায় ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় কৃষকরা। তারা ফসলি জমি রক্ষায় ইজারা বাতিল দাবিতে সোমবার আত্রাই নদীরে তীরে মার্চ ফর আত্রাই কর্মসূচি পালন করেছেন। সোমবার সকালে উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের ঝাড়বাড়ী শান্তির মোড় হতে আত্রাই নদী পর্যন্ত প্রায় ঘন্টাব্যাপি এই কর্মসূচি পালন করা হয়। জানা যায়, শতগ্রাম ইউনিয়নের গড়ফতু গ্রাম ও কাশিমনগর অংশে একটি বালুমহাল রয়েছে। সেটি আড়াই বছর আগে স্থানীয়দের জানমাল রক্ষার আন্দোলনের মুখে বাতিল করে জেলা প্রশাসন। এর পর থেকে ঘাটের আশপাশের ফসল ফলাচ্ছিলেন স্থানীয় কৃষকরা। কিন্তু আবারো সেখানে বালুমহাল ইজারা দেওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ২০২২ সালে ইজারা বাতিল হওয়ার পর থেকে নিরাপদেই ছিল সেখানকার স্থানীয় কৃষি ও জীববৈচিত্র। আশপাশের চাষিরা নানা ফসল ফলিয়ে আবারো স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিলেন, কিন্তু সেখানে পুনরায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। স্থানীয় সচেতন মহল দৈনিক কলযোদ্বাকে বলেন, বিগত সময়ে বন্ধ থাকার পরে আবারও কিছু প্রভাবশালী সুবিধাভোগী চক্র তাদের স্বার্থে এই বালু মহাল ইজারা নিয়েছে। আর জেলা প্রশাসন বিস্তারিত তথ্য না নিয়ে সেটি বালু খেকোদের হাতে তুলে দিয়েছে। এতে এলাকাবাসীর অপূরণীয় ক্ষতির আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ইজারাদার কর্তৃক ডেজার মেশিন নদীতে আনা হয়েছে। গড়ফতু উদয়ন ক্লাবের সভাপতি হামিদুর রহমান আমার দেশকে বলেন, জেলা প্রশাসন সরেজমিন তদন্ত না করেই প্রভাবশালীদের চাপ কিংবা অর্থের কাছে নতি স্বীকার করেছে। গণবিরোধী হয়, এমন সিদ্ধান্ত কোনো ভাবেই নিতে পারে না সরকার। অবিলম্বে এই ইজারা বাতিল করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মো. আশরাফুল নামের আরেক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, ‘ জেলা প্রশাসন কর্তৃক ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয়ার সাথে সাথেই এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারেরমাধ্যমে জেরাপ্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা বলেন প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক সরেজমিনে তদন্ত করে দেখুক তার পর ব্যবস্থা গ্রহন করুন । আমরা ভুক্তভোগী কৃষক ও সচেতন এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে এই ইজারা বাতিল করার জন্য প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন করছি। আমরা দরিদ্র সাধারণ কৃষক দু-মুঠো খেয়ে পড়ে বাচঁতে চাই। সেই বাচাঁর অধিকারটুকু আমাদের কে দেন।