
খান সেলিম রহমান
★মুখে হাসি-চোখে জল, বুকে আছে-তাজা বল,
চোখের জলে-সদাই টলমল!!
কাটছে প্রহর দিন রজনী-কাটছে ব্যাথার প্রহর।।
আমায় ছাড়াই-চলছে স্বার্থেরই শহর;
পেরিয়ে গেলো তিনটি বছর-আজ ও ভূলতে নাহি পারি!
বেলায় অবেলায় ভাবছি সদা-একা একা-নিরালায় ;
ভাবছি বসে তোমার কথা-ঘুম আসেনা নির্জনে একা,
তোমাকে হারানোর ব্যাথা-সহিতে আজ ও-পারিনা ।।
দাত থাকিতে দাতের মর্ম-কেহ যেমন বুঝেনা,
বাবা নাহি থাকিলে-কেমনে থাকে ছেলেরা?
শৈশবে পিতামহকে হারিয়ে-চলেছ যে তোমরা,
তোমাদের সেই যুগটা-ছিলো অনেক ভালো,
আমাদের এই যুগটা-আধার কালো।
স্বার্থের জন্যে-সমাজটা যে অন্ধ!!
কাব্যাংশে লিখবো কি আর-হৃদয়ে যে ব্যাথার পাহাড়!
তোমার নামে লিখেছি চিঠি-কবিতার নামে নিশিকালে,
জানা নেই মোর সেই পথ-পাঠাবো কোন ঠিকানায়!!
মজলুমপুত্র তোমার-কাদে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে!!
মজলুমপুত্র আমি বড় দুঃখী- দুঃখীপিতাকে-ভূলতে নাহি পারি!!
বাবা তোমাকে এখনো-স্বপ্ন দেখি প্রতি রাতে সব স্বপনের উত্তর খুঁজি-যখন তোমায় নিয়ে ভাবি,
হারানো পথের দিকে-পেছন ফিরে ফিরে।।
আমার হৃদয়, মন-তোমার ছবি আঁকে!!
কভূ নেই শেষ এই অপেক্ষার-তবুও ব্যার্থচেষ্টা মনকে বোঝাবার।
মানুষ মারা গেলে-রেখে যায় স্মৃতি, কবিগন মারা গেলে হয়ে যায়-ইতিহাসের কৃতি,
প্রথম যখন লিখেছি-এই অমীয় বাণী,
বুঝতে পারিনি কভূ বাণীটি বিশ্লেষনে-বেশী যন্ত্রনা পাবো আমি।
আঘাত পাবো হৃদয়ে মোর-যাকে নিয়ে দিনরজনী ভাবি।
ব্যাথিত মজলুম হৃদয়ে-সদাই হাহাকার করি।
ওহে রাহিম রাহমান-মোনাজাত করি নিকটে তোমার;
স্বর্গ সুখ দিও তুমি-দয়াময় প্রভু বাবাকে আমার!
বিরহী রাইটার’আমি-কান্দি বারে বার।
প্রভু তুমি-রাহমান ও গাফ্ফার,
জীবন দুঃখী-মজলুম:আমি… বান্দা যে