প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭

ঠাকুরগাঁওয়ের জনসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

খন্দকার সেলিম রেজা , স্টাফ রিপোর্টার: সোমবার ২৩ শে ডিসেম্বর বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্যে বলেন এখন কেউ যেন দেশকে বিভক্ত করতে না পারে,সে ব্যাপারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব।তিনি বলেছেন আমরা একটা সুযোগ পেয়েছি।সে জন্য আমি সরকারি কর্মকর্তা,পুলিশ, সেনাবাহিনী সহ সকল বাহিনীকে অনুরোধ করতে চাই,আসুন এই সুযোগ আমরা কাজে লাগিয়ে আবার আমরা বাংলাদেশকে সমস্ত বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গড়ে তুলি।সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিনি বলেন জনগণকে বোকা বানিয়ে তিনটা নির্বাচন করে জোর করে ক্ষমতায় ছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি ভেবেছিলেন,কোনো দিন ও ক্ষমতা হারাবেন না।কিন্তু দেখেন কীভাবে ক্ষমতা ছেড়ে কয়েক মাসের মধ্যে পরিবারের সবাইকে নিয়ে হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন,যেই নেত্রী বলেছিলেন আমি পালাই না, আমি ভয় পাই না,আমি মুজিবের বেটি।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে হাসিনা ওখান থেকে ষড়যন্ত্র করছে,চক্রান্ত করছে।একটা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে—এখানে নাকি আমাদের হিন্দু ভাইদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে।আমরা খুব শান্তিপ্রিয় মানুষ।আমরা সব সময় হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টান, মুসলমান একসঙ্গে বসবাস করি।মির্জা ফখরুল বলেন, কেউ কেউ বলছে যে একাত্তর ভুলে যাবে।একাত্তর কে আমরা ভুলতে পারি না।একাত্তরে আমাদের স্বাধীন দেশের জন্ম হয়েছে।আমি আমার নিজেকে চিনতে পেরেছি।আমরা নিজের একটা ভূখণ্ড তৈরি করতে পেরেছি।আমরা ওপরে ওঠার একটা সুযোগ পেয়েছি।সেই সুযোগ টা আমাদের কাজে লাগাতে হবে।ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন,আমি ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই,আমাদের ভাইয়েরা যাঁরা ১৫ বছর লড়াই করেছেন,তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।তাঁরা নিজেদের বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে আমাদের জন্য আবার একটা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন।যেন আমরা দেশে আবার একটা গণতান্ত্রিক পথ সৃষ্টি করতে পারি।আমরা এখানে সব মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।দেশের জনগণ ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেন নাই।এই ভোটের অধিকার টা আমরা ফিরিয়ে দিতে চাই।দলের সংস্কার প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন,আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে “ভিশন বাংলাদেশ টুয়েন্টি-থার্টি” দিয়েছিলেন।আর আমাদের নেতা তারেক রহমান ২০২২ সালে ৩১ দফা দিয়েছেন। সেই ৩১ দফা কী,সংস্কার প্রস্তাবিত হয়েছে।এই সংস্কারটা আমরা চাই।এই সংস্কার বলতে বুঝি,আমরা যেন নিজের ভোট টা নিজেই দিতে পারি।আমাদের দেশে যেন শান্তি বজায় থাকে,জিনিস পত্রের দাম যেন বৃদ্ধি না হয়।মারামারি যেন না হয়,চুরি–ডাকাতি যেন না হয়। আর কথায় কথায় ঘুষ যেন দিতে না হয়।এ রকম একটা বাংলাদেশ আমরা চাচ্ছি। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন,ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমীন সহ দলটির অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাবৃন্দরা।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন