প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার ২৪শে জুন, ২০২৫ ১০ই আষাঢ়, ১৪৩২ ২৭শে জিলহজ, ১৪৪৬

তানোরে খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

রবিউল ইসলাম ,স্টাফ রিপোর্টার : তানোর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মলিউজ্জামান সজিবের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ মতাদর্শী এই কর্মকর্তার দাপটে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এখানে কাজে ত্রুটি থাক বা না থাক প্রতিটি কাজে তাকে আর্থিক সুবিধা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া ডিও লেটার আটকে টাকা আদায় নিয়মে পরিণত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চালকল মালিক জানান, গত বোরো মৌসুমে চাল সংগ্রহে খাদ্য কর্মকর্তা বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে বন্ধ চালকল চুক্তিবদ্ধ করেছেন। এবার নতুন করে ২৭ অক্টোবর ওএমএস ডিলার নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। কেউ ডিলার নিয়োগ পেতে আবেদনপত্র নিয়ে অফিসে গেলে ভুলভ্রান্তির কথা বলে আর্থিক সুবিধা দাবি করা হচ্ছে। তবে যারা আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে সব ঠিক আছে বলে অন্যদের ভাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনুসন্ধান করা হলেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। এমনকি খাদ্য কর্মকর্তার মদদে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কমিশনের ভিত্তিতে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে এই কারসাজি করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া নিুমানের চাল সংগ্রহ, রাতের আঁধারে গুদাম থেকে চিকন চাল বের করে মোটা চাল ঢোকানো ও মিলারদের ক্যাসিংয়ের জন্য চিকন ধান দিয়ে মোটা চাল নেওয়া ইত্যাদি নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এই খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তানোর সরকারি খাদ্যগুদামে যে চাল মজুত রয়েছে সেই ধানের চাষ উপজেলায় হয় না। তাহলে এসব চাল এলো কোথা থেকে। আবার কৃষকের কাছ থেকে কেনা ধানের চাল গেল কোথায়? মিলারদের ক্যাসিংয়ে দেওয়া সরু ধানের চাল কোথায়? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে উপজেলাজুড়ে। স্থানীয় সূত্র জানায়, শর্ত পূরণে চুক্তি সম্পাদন করতে সক্ষম হলেও শুধু বিদ্যুৎ বিলের কাগজ ও বৈধ লাইসেন্স দেখিয়ে খাদ্য কর্মকর্তার নেপথ্যে মদদে বন্ধ মিল থেকে সরকারের খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করে আসছে একশ্রেণির কথিত মিলার। অথচ সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে খাদ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদিত চাল সংগ্রহের চুক্তির মডেল অনুসরণ করে চাল সংগ্রহ ও নিয়ন্ত্রণ আদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সম্পন্ন উৎপাদনে নিয়োজিত বৈধ চালকল লাইসেন্সধারী মিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করতে হবে। যেসব মিলের বয়লার, চিমনি নেই সেসব মিলের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করা যাবে না। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিলারদের আবেদনপত্রসহ চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব যাচাই-বাচাই শেষে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে প্রেরণ করবেন। যাচাই-বাছাই শেষে সব প্রক্রিয়া সম্পন্নকারী বৈধ চালকল মালিকরা সরকারের খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করতে পারবেন। এ বিষয়ে তানোর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মলিউজ্জামান সজিব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মূলত লাইসেন্স ও বিদ্যুৎ বিলের কপি দেখেই এসব বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কিন্তু পরিপত্র অনুযায়ী বন্ধ মিল থেকে চাল সংগ্রহ করা যাবে না। তবে যখন উপরমহল থেকে নির্দেশনা আসে তখন কিছু করার থাকে না।এ ব্যাপারে পদাধিকার বলে ধান ও চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি ইউএনও মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ওএমএস ডিলার নিয়োগের আবেদন সংগ্রহে টিসিএফ দ্বারা কোনো অনিয়ম হলে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি বলে জানান ইউএনও।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন