মোঃ আফতাবুল আলম , রাজশাহী: রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃমফিদুল ইসলাম বাচ্চুর নামে গত ৩০/৯/২০২৪ইং তারিখে বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ঢাকায় দণ্ডবিধির ১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৮৪/৫০৬/১০৯/৩৪ ধরায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলাতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৮৩ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলায় বাদী সোলেমান মিয়া পিতাঃরমজান আলী মাতাঃ রোমেলা আক্তার সাং তিয়শ্রী, থানাঃমদন,জেলাঃ নেত্রকোনা। বর্তমান ঠিকানাঃ ৮৬/১, মেকাব খান রোড রায়ের বাজার, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭। মামলাতে উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশে সাধারণ ছাএদের চাকুরীতে কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল সে আন্দোলনে শরীক হয়ে ছিলেন লালমাটিয়া স্কুল এন্ড কলেজ মোহাম্মদপুর নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণির ছাত্র ভিকটিম বাদীর ছেলে লোকমান হাসান(১৫)ছাত্র। যেহেতু সাধারণ ছাত্রদের কোটা বিরোধী আন্দোলন এক সময় সরকার পতনের একদফা দাবিতে সোচ্চার হয় সেই আন্দোলন কে সফল করর লক্ষ্যে বিগত ০২/০৮/২০২৪ ইং তারিখে আনুমানিক দুপুর ২,৩০ মিনিটে ছাত্রজনতার একটি বিক্ষোভ মিছিল ধানমন্ডি থেকে বের করেন। সেই মিছিলে ভিকটিম অপরাপর ছাত্র জনতার সহিত রাজপথে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। সেই বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌছালে এই ছাত্র জনতার আন্দোলন কে নস্যাৎ করার জন্য তৎকালীন সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমূহ পুলিশ বিজিবি আনসার সহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সহিত ৬১ নাম্বার আসামি মোঃমফিদুল ইসলাম বাচ্চু ( ৫০) পিতাঃমৃত সোলায়মান বর্তমান ঠিকানাঃ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ধানমন্ডি, ঢাকা, স্থায়ী ঠিকানাঃসাং হরিয়ান পূর্ব পাড়া, থানাঃ কাটাখালী জেলাঃ রাজশাহী তিনি সেই আন্দোলনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাণ্ডব চালাই সেই তাণ্ডবে আমার ছেলে তাদের অমানুষিক নির্যাতনে হাত থেকে রেহায় পাইনি তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে দুই হাত ও দুই পায়ে উপযুপরি আঘাত করে আসামীগনের দানবীয় আক্রমণে হিংস্র পশুু সুলভ আঘাতে ও তাদের হাতে থাকা পিস্তলের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে রাস্তার উপর পড়ে ছিলেন।হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর আসপাশের লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসালয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এবং তার বাবা অর্থাৎ বাদীকে খবর দেন বাদী এসে তার ছেলের প্রাথমিক চিকিৎসা দ্রুত সম্পন্ন করিয়া পুনরায় হামলা ও পুলিশের গ্রেফতার এড়াইবার জন্য দ্রুত উক্ত এলাকা ত্যাগ করিয়া ভিকটিম কে নিয়ে বাসায় চলিয়া যায়। বর্তমানে ভিকটিমের চিকিৎসা চলমান তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও গুলি রয়েছে এবং তিনি আশঙ্কা মুক্ত নন। ভুক্তভোগীর পরিবার বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আকুল আবেদন করে আমার এই মামলার সুষ্ঠ তদন্তের নির্দেশ দেন। ও মামলার সকল আসামীদের শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। এমতাবস্থায় দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা না থাকার কারণে আমার মামলা করিতে বিলম্ব হইয়াছে বলে জানাই।এই বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম বাচ্চুর বক্তব্য নেবার জন্য প্রতিবেদক তার মোবাইল ফোনে ফোন করলে সে জানাই আমি গাড়ি চালাচ্ছি পরে কথা বলবো। কিন্তুু ১ ঘন্টা অপেক্ষার পর তাকে ফোন দিলে রিসিভ করেনি তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।