প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭

উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি লক্ষাধিক পরিবার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা

 মাটি মামুন,রংপুর ব্যুরো: ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টির পানিতে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে উত্তরের নদ-নদীগুলো।বিশেষ করে তিস্তা, ঘাঘট, যমুনেশ্বরী, করতোয়া, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রসহ অসংখ্য নদ-নদী বিধৌত রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।কোথাও কোথাও তিস্তার পানি বিপৎসীমা উপচে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ঢুকে পড়েছে।স্বল্প মেয়াদি বন্যার সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙনের আশঙ্কা।পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে উঠতি আমন ধান ও শীতকালীন শাক-সবজির ক্ষেতসহ ডুবেছে বিভিন্ন ফসলি জমি।প্রভাব পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি রেলপথেও। রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধা জেলার নদ-নদীর কূলঘেঁষা চর ও চরদ্বীপসহ লোকালয়ের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, রোববার রাত ৯টার দিকে রংপুরে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ২৯ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার।যা (স্বাভাবিক ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে একই পয়েন্টে সন্ধ্যা ৬টায় পানির প্রবাহ বিপৎসীমার ৩১ এবং বিকেল ৩টায় বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।এ দিন দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে সন্ধ্যা ৬টায় পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার।যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে হয়।বিকেল ৩টায় একই পয়েন্টে পানির প্রবাহ বিপৎসীমার ৮, দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৩, সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ এবং সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত ৮ ঘণ্টায় (সন্ধ্যা ৬টার আগ পর্যন্ত) উজানে ও দেশের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন