প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫ ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১২ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

কেন্দ্রীয় কারাগারের খাবার মুখে তোলা যায় না

মাটি মামুন রংপুর ব্যুরো: রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যে খাবার দেওয়া হয়, তা মুখে তোলা যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে। কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসা কয়েক জন ব্যক্তি এমন অভিযোগ করেছেন। কারাগার সূত্রে জানা গেছে,রংপুর কারাগার স্থাপিত হয় ১৮৬৪ সালে। ১৯৯৭ সালে কেন্দ্রীয় কারাগারে উন্নীত হয়। ৬.৪৪ একর জমির ওপর এর অবস্থান। কারা অভ্যন্তরে তিস্তা, ঘাঘট, করতোয়া নামে রয়েছে তিনটি ভবন।কেন্দ্রীয় কারাগারে আসামি ধারণক্ষমতা ৮৭৫ জন,এর মধ্যে পুরুষ ৮৩১ ও নারী ৪৪ জন। বর্তমানে বন্দি রয়েছে এক হাজার ৬৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৫৭৬ ও নারী ৫৮ জন। আসামিদের জন্য প্রতিদিনের মাথাপিছু খরচ হয় ৪৫ টাকা। খাবার হিসেবে দেওয়া হয় সকালে দুপুরে ভাতের সঙ্গে যে সবজি দেয়, তা খাওয়ার অযোগ্য। আর রাতে মাছের সঙ্গে যে ডাল-সবজি দেয়, তা মুখে তোলা যায় না (দুই দিন) খিচুড়ি (পাঁচ দিন) রুটি ও সবজি। দুপুরে ভাত, সবজি ও ডাল এবং রাতে ভাত, মাছ বা মাংস। এ ছাড়া বিশেষ দিনগুলোতে সকালে পায়েস ও মুড়ি, দুপুরে ভাত ও রুই মাছ এবং রাতে পোলাউ,গরু/খাসির মাংস। হাজতি (বর্তমানে জামিনপ্রাপ্ত) দুদু মিয়া অভিযোগ করে এই প্রতিবেদক কে বলেন,সপ্তাহে সকালে দুই দিন খিচুড়ি খাওয়া গেলেও বাকি দিনগুলোর রুটি খাওয়ার উপযোগী নয়। দুপুরে ভাতের সঙ্গে যে সবজি দেয়, তা খাওয়ার অযোগ্য। আর রাতে মাছের সঙ্গে যে ডাল-সবজি দেয়, তা মুখে তোলা যায় না। একজন কারারক্ষী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন,ব্রিটিশ শাসনামল থেকে আজ অবধি চলছে। তাদের আইন ও নিয়ম-নীতি। বর্তমানে এ নিয়ম-নীতি পরিবর্তন করা দরকার। এ ছাড়া কারাগারের নাম পরিবর্তন করে সংশোধনাগার করা উচিত। কারা হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, একজন চিকিৎসক, একজন নার্স ও একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান আছেন। এখানে মানসিক রোগীদের পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা নেই।এ ছাড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার, সহকারী মহিলা সার্জন, নারী নার্স, প্রধান কারারক্ষী পাঁচজন, সহকারী প্রধান কারারক্ষী একজন ও ২৩ জন কারারক্ষীর পদ শূন্য রয়েছে। রংপুর কেন্দ্রীয় কারা উপ মহাপরিদর্শক তৌহিদ ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে কথা হোলে তিনি বলেন এ বিষয়ে জেলারের সাথে কথা বলুন। ডিপুটি জেলার আজহারুল ইসলাম এর সাথে সাক্ষাৎতে কথা হোলে তিনি বলেন আমাদের জেলার ছুটি তে আছেন, আপনাদের কোনো কিছু জানার থাকলে জেলার ছুটি শেষে আসলে কথা বলিয়েন।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন