জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :জৈন্তাপুর উপজেলা কৌমী অধুষিত এলাকা হলেও বেশ পুরাতন দুটি আলিয়া মাদ্রাসা রয়েছে, এই মাদ্রাসা দুটি থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী দেশ বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছে।
১. খরিল নেজামুল উলুম চাক্তা ফাজিল মাদ্রাসা২. জৈন্তা দারুছ ছুন্নাহ আলিম মাদ্রাসা।দুটি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল দুজনের লুটপাট,অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য,প্রক্সি ছাত্র দিয়ে পরীক্ষা দেওয়া,( প্রক্সি ছাত্র বলতে কোনো দিন মাদ্রাসায় আসে না, ক্লাস করে না, বখাটে, মাদ্রাসার অন্যন্য ছাত্র-শিক্ষক কেউ জানেন না বা চিনেন না, প্রিন্সিপালগণ পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার শর্তে মোটা অংকের টাকার লেনদেন করে পরীক্ষার সেন্টারে আলাদা কক্ষে বসে নিজে বা অন্যকে দিয়ে পরীক্ষার হলে লিখিয়ে পাশ করে নেয় যারা, তাদের প্রক্সি ছাত্র বুঝাচ্ছি।) সার্টিফিকেট আটকিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, মাদ্রাসার ফান্ডের ইচ্ছা মতো ব্যবহার, স্বেচ্ছারিতা, ছাত্র, অভিভাবকদের বিভিন্ন কাজে হয়রানিসহ হাজারো অভিযোগ রয়েছে। টাকা উপার্জন ও টাকা কামানো যেনো তাদর জীবনের মূল লক্ষ্য। মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, ক্লাস কার্যক্রম সঠিকভাবে হচ্ছে কি না এটা দেখার কোনো সময় তাদের নেই।ছাত্র ও এলাকাবাসীর তীব্র আন্দোলনের মুখে একজন (চাক্তা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল) পদত্যাগ করলেও মরকজে মরকজে তেল ঢালা, ও লবিং করা তীব্র গতিতে চলমান আছে।আর আরেক’জন, দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ফয়জুর রহমান সাহেবের শশুড়বাড়ী জৈন্তার প্রভাবশালী লোক হওয়ায় যেনো প্রতিবাদের হাওয়া গায়ে লাগে না। শশুড়বাড়ীর লোকেরা জামাই আদর করে এলাকার প্রভাবশালীদের রাতের আধারে টাকার বিনিময়ে পকেটে নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের সকল অভাব অভিযোগ চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। উনার নামে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, টাকার বিনিময়ে প্রক্সি ছাত্র দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানো’সহ অভিযোগের কথা যারা তুলে ধরেন বা প্রতিবাদ করেন প্রিন্সিপালের শশুড়বাড়ির লোকেরা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে পাল্টা মিথ্যা ও বানেয়াট অভিযোগ তুলে, তাদরকে হত্যার হুুমকি দেয়। যার ফলে কেউ অভিযোগ তুলতে সাহস পায় না।টাকা কামানোর মাদ্রাসার চাকরি বাঁচাতে দুই প্রিন্সিপাল একজন উকিল নিয়োগ দিয়েছেন, উকিল সাহেব দুর্নীতি বাজ দুই প্রিন্সিপাল কে বাঁচাতে রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিচ্ছেন,এবং তদন্ত কার্যক্রম কে বানচাল করে সম্মানিত তদন্ত কমিটির সদস্য দেরকে প্রশ্ন বৃদ্ধ করছেন। প্রিন্সিপাল ফয়জর রহমানের বিরোদ্ধে আনিত সত্য অভিযোগগুলো এলাকার গন্য মান্য মুরব্বিদের কাছে দেওয়া আছে। জানিনা আলোর মুখ দেখবে কি না।
তবে আল কুরআনের বাণী:”সত্য সনাগত, মিথ্যা অপসৃত, মিথ্যার পতন অবশ্যম্ভাবী।এলকার গন্য মান্য মুরব্বি সমাজের প্রতি অনুরোধ জৈন্তাপুরের আলিয়া মাদ্রাসার সুনাম অটুট রাখতে এসব দুর্নীতিবাজ প্রিন্সিপালদের অপসারণ দরকার। তাই স্বীয় স্বার্থে অন্ধ না হয়ে পুরাতন দুটি আলিয়া মাদ্রাসার সুনাম ধরে রাখার জন্য অন্যায়ের বিরোদ্ধে ও সত্যের পক্ষে এগিয়ে আসুন।