প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার ৮ই জুলাই, ২০২৫ ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১২ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

আত্রাইয়ে টানা বৃষ্টিতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ আত্রাই

সামসুজ্জামান সেন্টু আত্রাই ,উপজেলা প্রতিনিধি : গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে জরুরী কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এতে যাত্রী পাচ্ছেন না ভ্যান সিএনজির চালকরা। বিপাকে ফুটপাতে দোকানিরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপজেলা রেলস্টেশন আমতলী এবং সাহেবগঞ্জ বাজার এলাকায় যাত্রীর আশায় বসে থাকতে দেখা যায় অনেক চালকদের। গত তিন দিন ধরে উপজেলায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা বাতাসের সঙ্গে হালকা ও মাঝারি আবার কখনও ভারী বর্ষণের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসকল নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নতুন বাজার,স্টেশন বাজার,আত্রাই বাজারের বিভিন্ন দোকানপাট বন্ধ। কিছু দোকান খোলা থাকলেও নেই কাষ্টমার। বৃষ্টির কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় শ্রমিকরাও পড়ছেন দুর্ভোগে। নওগাঁ-নাটোর মহাসড়কের আমতলী স্ট্যান্ডে যাত্রীর আশায় বসে থাকা সিএনজি চালক ওমর ফারুক বলেন,গত তিন দিন ধরে টান বৃষ্টি হচ্ছে,আমি এক টিপে ৭০০ টাকা উপার্জন করেছি। যেখানে আমি প্রতিদিন সিএনজি মালিকদের সিএনজির ভাড়া দিয়েও ৬০০-৭০০ টাকা উপার্জন করে থাকি। ঠিকমতো ভাড়া না হওয়ার কারণে আমরা চরম বিপাকে পড়েছি। আমরা কি খাব আর গাড়ি মালিকদেরই বা কি দিব। অটোরিকশা চালক মুনিরুল ইসলাম বলেন,বৃষ্টির কারণে রাস্তায় কোন লোকজন নেই। আজ আমি ১০০ টাকা ভাড়া মেরেছি। যেখানে অন্যান দিন ৫০০-৬০০ টাকা ভাড়া হয়। আমার গাড়ির চার্জারের টাকাই উঠবে না। ফুটপাতে ফল বিক্রেতা ইদ্রিস আলী বলেন,প্রতিদিন আমি দুপুরের মধ্যে ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বিক্রি হয়। টানা বৃষ্টির কারণে গত তিনদিন ধরে আমি ১হাজার টাকারও বিক্রি করতে পারিনি। আত্রাই নতুন এলাকার চায়ের দোকানদার অমৃত বলেন,অন্য দিনে যা বিক্রি হয় তার অর্ধেকও বিক্রি করতে পারিনি। সকালে বেকারির যে রুটি,কেক,সিঙ্গারা রেখেছিলাম এখন সেগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পাশের দোকান বন্ধ থাকায় ভেবেছিলাম বিক্রি ভালো হবে কিন্তু এখন ভাবছি বন্ধ রাখলেই ভালো ছিল। ভ্যান চালক আসাদ বলেন, রাস্তায় কোন লোকজন নেই,গত তিনদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কোন ভাড়াও মারতে পারিনি। আমার বাড়িতে আমি সহ পাঁচজন সদস্য। আমার একার উপার্জনে আমার সংসার চলে। এরকম টানা বৃষ্টি হতে থাকলে আমার পরিবারের সদস্যদের না খেয়ে থাকতে হবে। আরেকবার চালক বলেন, আমার ভ্যান চালিয়ে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা উপার্জন হয়। বৃষ্টির কারণে আজ আমি ৫০ টাকা ভাড়া মেরেছি। দুই দিন ধরে বাড়িতে বাজার করিনি,আজ বাজার না করলে আমাদের হয়তো না খেয়ে থাকতে হবে।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন