প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫ ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

রাজশাহীর মোহনপুরে অনিয়ম দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সেচ্ছাচারিতায় অভিযোগ

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ইউএনও, প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাতে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সেচ্ছাচারিতায় অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) মোহনপুর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের ওহাব আলীসহ বাকশিমইল ও সইপাড়া গ্রামের কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি স্বাক্ষর করে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা, উপজেলা সাবেক প্রকৌশলী সাদরুল ইসলাম, বর্তমান প্রকৌশলী নুরনাহার ও উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজিজুর রহমান মিলে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে উপজেলা উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দের আওতায় বরাদ্দকৃত ৩৫ লাখ টাকা সামান্য কাজ করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, উপজেলা প্রকৌশলী সাদরুল ইসলাম ও উপ-সহকারী প্রশাসনিক আজিজুর রহমানের যোগসাজশে চলতি বছরের গত ২ এপ্রিল অফিস সহায়ক শরিফুল ইসলামের মাধ্যমে মোহনপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন। এইকভাবে গত ১৫ মে আরও ১০ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেই। উপজেলা চত্তরে মেইল রাস্তা সিসিকরণ কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯শ’ টাকা। ওই কাজটি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ও নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা, প্রকৌশলী সাদরুল ইসলামের যোগসাজশে প্রকৌশলী নিজেই ঠিকাদারের দায়িত্ব পালন করে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে মাত্র ৩ দিনে কাজ শেষ করে। বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করে নেই। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের উপজেলা চত্বরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও আগাছা পরিষ্কারের নামে ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করে সেই টাকাও আত্মসাৎ করেন। অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়ে মোহনপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা ও বর্তমান উপজেলা প্রকৌশলী নুরনাহার মিলে গোপনে নিজেরাই ঠিকাদার সেজে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে নামমাত্র কাজ করে বরাদ্দের সম্পূর্ণ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যদেরকে বিভিন্ন প্রকল্পের সভাপতি করে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলীসহ আমাকে জড়িয়ে যেসকল অভিযোগ আনা হয়ে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বনোয়াট। নিয়ম অনুসারে সকল প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। অনিয়মের প্রশ্নই আসে না। যেহেতু বিভাগীয় কমিশনার স্যারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেটি তদন্ত করলেই আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে বলে জানান ইউএনও।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন