প্রিন্ট এর তারিখঃ সোমবার ৭ই জুলাই, ২০২৫ ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ ১১ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

কালিহাতীতে কবিরের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন,গ্রেফতার হয়নি কেউ

বিশেষ সংবাদদাতা: ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইলের অন্তর্ভুক্ত স্বনামধন্য কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়ন আওতাধীন ধানগড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মৃত.কবির হোসেন।ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের জন্য মা কমলা বেগম সাংবাদিকদের জানান,মৃত.কবির হোসেন,কালিহাতী উপজেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরে চাকুরীরত ছিলেন।বৈবাহিক জীবনে মারুফা আক্তার ছিলেন তার স্ত্রী।গত.(০৩.০৮.২০২৪)ইং,বিকেল০৫.৩০ মিনিটে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী হইতে বাহির হয়ে যান কবির হোসেন।সাংসারিক প্রয়োজনে আনুমানিক সন্ধ্যা ০৭.১৫ মিনিটে গৃহবধু মারুফার সাথে ফোনালাপ হয়।রাত্রী যখন গভীর হতে থাকে কিন্তু কবির হোসেন বাড়ী না ফেরাতে গৃহবধূ মারুফা চিন্তিত হয়ে উঠেন এবং মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে স্বামী কবির হোসেনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় বলে জানান।জানাগেছে,রাতে অনেক খোঁজাখুজির পর ব্যর্থ হয় মৃত.কবির হোসেনের পরিবার।ঘটনার জেরে পরদিন (০৪.০৮.২০২৪)ইং, সকাল ০৯.১৫মিনিটে খবর আসে কবিরের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের আওতাধীন দুয়ানী ব্রীজের পাশে পড়ে আছে। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। অতঃপর ঐ দিনই বিকেল আনুমানিক ৪.৩০ মিনিটে দুয়ানী ব্রীজের নিচে ভীমের সাথে পরিত্যক্ত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া গেলে,পরবর্তীতে কালিহাতী থানা পুলিশের তৎপরতায় লাশ উদ্ধার করা হয় এবং সঠিক ময়না তদন্তের জন্য লাশটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।ঘটনা সূত্রে জানাগেছে,মৃত.কবির হোসেনের সাথে একই গ্রামে বসবাসরত কামরুল ইসলামের স্ত্রী সুমি’র সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলমান ছিলো। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবৎ তোলপাড় চলছিলো বলে জানাগেছে।সরজমিনে ঘুরে আরও জানাযায়,সেই তোপের মুখেই কামরুলের রোশানলের শিকার হয়েছেন,মৃত.কবির হোসেন।
উল্লেখ্য,এ বিষয়ে কালিহাতী থানার এস.আই মিন্টু ঘোষ জানান,মোবাইল ট্রেকিং এর মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে আসামী কামরুলের উপস্থিতি সংশ্লিষ্টভাবে নিশ্চিতকরন সম্ভব হলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা
বলে তথ্য সুনিশ্চিত করা হয়েছে।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা সম্পাদক: মো: ফারুক হোসাইন,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন