প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭

পাল্টে গেছে রংপুরের আদালত চত্বর  নেয়া হচ্ছে না কোথাও ঘুষ 

শিল্পী আক্তার রংপুর : মাস দেড়েক আগেই রংপুরের আদালত চত্বরের জিআর অফিসের কোর্ট জিয়ারু, আদালতের পেশকার,সরকারি পিপিসহ পুলিশ প্রশাসনের সব জায়গায় ঘুষ ছাড়া মিলতো না আইনি সেবা কিংবা কাজ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ নেত্রী শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আদালত চত্বরের কোথাও দেখা যাচ্ছে না ঘুষ কিংবা উৎকোচ নেয়া। বরং স্বচ্ছতার চাদরে চলছে আদালত চত্বরের কার্যক্রম। এতে আইনজীবী, সহকারী আইনজীবী- মুহুরী ও বিচার প্রাপ্তিসহ অভিযুক্ত পরিবারদের মাঝে বেশ স্বস্তি ফিরেছে।গুনতে হচ্ছে না তাদের বাড়তি টাকা। তবে এমন পরিবর্তন আসাতে বেশ লাভজনক অবস্থায় আছেন আইনজীবীদের সহকারী- মুহুরী’রা। গত একমাস আদালত পাড়া ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। এসময় বিভিন্ন আইনজীবী ও তাদের সহকারীসহ বিচার প্রার্থীর লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, মাস দুয়েক আগে যে আদালতে হাজতি আসামিদের হাজিরা দিতে কোর্টে আনা হতো। সে-ই আসামিদের দেখতে কিংবা খাবার দিতে গিয়ে টাকা লাগতো ২শত থেকে ১হাজার টাকা। জি আর অফিসে নতুন মামলার কাগজপত্র (ফাইল) জমা দিতে নেয়া হতো ১শত থেকে ৫ শত টাকা। হাজিরা দেয়ার কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য নেয়া হতো ৫০থেকে ১শত টাকা, বিচারকের আদেশপত্র তুলতে লাগতো ৫ শত থেকে ১ হাজার টাকা এবং কোন আসামির শুনানি অথবা জামিনলাভের জন্য সরকারি দলের পিপিকে দেয়া হতো হাজার টাকার উর্দ্ধে। শুধু তাই নয় জামিন লাভের পরেও বেল-বন্ড কারাগারে পাঠানোর জন্য দিতে হতো বাড়তি টাকা। তবে হাসিনা সরকার উৎখাতের পর থেকেই দেখা মেলেনা এমন দৃশ্য। আদালত পাড়ার অতীত ও বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা হয় সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট রইচ উদ্দিন বাদশা,এ্যাডঃ আব্দুল জলিল সরকার, এ্যাডঃ জাকির হোসেনসহ অন্যান্য আইনজীবীবৃন্দ’র।তারা প্রতিবেদককে বলেন,বিগত সময়ে যে সরকারেই ক্ষমতায় ছিলেন তাদের নেতৃত্বে দুর্নীতি ঘুষ বাণিজ্য হয়েছে, তবে বর্তমান যে প্রেক্ষাপট’ তাঁতে আশা করা যাচ্ছে শুধু রংপুরেই নয় পুরো দেশ জুড়ে সব সেক্টরে স্বচ্ছতা আসবে। তারা আরো বলেন,এই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যদি প্রত্যেক আদালতের পুলিশ পরিদর্শকবৃন্দ সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং পাশাপাশি তাদের অধিনস্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঠিক ভাবে মনিটরিং করেন তাহলেই স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। এবিষয়ে আদালত পাড়ার সার্বিক পরিস্থিতি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট ঘিরে যে স্বচ্ছতা ফিরেছে, সেই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সততার সাথে কাজ করার আশ্বাস দেন পুলিশ পরিদর্শক মীর আতাহার আলী।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন