প্রিন্ট এর তারিখঃ বৃহস্পতিবার ২৬শে জুন, ২০২৫ ১২ই আষাঢ়, ১৪৩২ ২৯শে জিলহজ, ১৪৪৬

ডাকুয়া ইউনিয়ন রেকর্ড সম্পত্তি দখল সহ ভিটি বাড়ি উচ্ছেদের পায়তারা ও জীবননাশের হুমকি

শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলা ডাকুয়া ইউনিয়ন ছোট চত্রা গ্রামের নিধুরাম পরিবারের লোকজন ৩নং ওয়ার্ডভূক্ত সম্পত্তি নাল জমি জবরদখল পূর্বক ভিটি বাড়ি থেকে এখন উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে অশোক বালা গং ও উজ্জ্বল সরকার, সংকর রায় গং নামের লোকজন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ভুক্তভোগীরা জবরদখল হওয়া নাল জমি পুনরায় ফেরত সহ ভিটি বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পায়তারার বিচার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা যায়।অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেদক সরেজমিনে আসলে ভুক্তভোগীদের মধ্যে বর্তমান বঙ্কিম চন্দ্র ভুঁইয়া বলেন, আজ থেকে ১৯৩৬ সনের দলিল মোতাবেক । তার নাম ছিল নিধুরাম ভুঁইয়া । তার নামেই দলিল মূলে নাম হয় নরেন্দ্র চন্দ্র ভুঁইয়া পরে তার মৃত্যুে ওই সম্পত্তি বঙ্কিম চন্দ্র ভুঁইয়া ভোগদখল করেন। পরে মৃত্যুে দুই ছেলে এক মেয়ে সম্পত্তি ভোগদখল করেন। তাদের মধ্যে বড় ছেলের ওয়ারিশ হয় তার দুই ছেলে এক মেয়ে। তাদের ভীতর আমি শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া ছেলে। যাহার দরুন থেকে বর্তমান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, জাতীয় দৈনিক ঢাকা পত্রিকা ও জাতীয় দৈনিক দেশ প্রিয় পত্রিকা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু নরেন্দ্র চন্দ্র ভুঁইয়া যিনি আমার দাদা ছিলেন এবং । যাহার নথিপত্র আমার কাছে রয়েছে। বর্তমান আরও বলেন, এদিকে প্রতিপক্ষের উজ্জ্বল সরকার, পিতা উওম সরকার, অভিজিৎ হাজারি গং ও ননী বালা , সংকর রায় গং নামের লোকজন ভূয়া কার্ড করে সেজে ভয়ভীতি দেখিয়ে নাল জমি জবরদখল করে। এবং ভিটি বাড়ি থেকে এখন উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। আসলে ওই রেকর্ড সম্পত্তির কোনও প্রকার তারা ওয়ারিশ না। আবার কখনো তারা কবলা মূলে মালিক বলে বেড়ান। কিন্তু জমি কখনো দলিল দেওয়া যায় না। তাহলে তারা আসলেই ভূয়া ওয়ারিশ সেজে এখন বিভিন্ন টালবাহানা সহ বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে এবং বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র সহ আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজন কে জীবননাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এজন্য আমি এর প্রতিকার চেয়ে ঢাকা ও পটুয়াখালী ডিসি রেভিনিউ বরাবর এবং গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। যাহা ডিসি রেভিনিউ দ্রুত তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট দেওয়ার জন্য গলাচিপা উপজেলা ইউএনওকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি এর সঠিক বিচার দাবি করছি। আরও কথা থাকে যে, ঢাকা প্রধান কার্যালয় থেকে ওই ভূয়া বিকাশ হাজারি ও অশোক বালা গং ও ননী বালা গং নামে লোকজনের বিরুদ্ধে তলব পূর্বক নোটিশ দিলে তারা সেখানে হাজির হয়ে কোনও প্রকার কাগজপত্র কিংবা কোনও জবাব দিতে পারেননি।সরেজমিনে স্থানীয়রা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এমনকি সেই ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি নিধুরাম পরিবারের লোকজন এ সম্পত্তি গুলো ভোগদখল করতেন। পরে তার ওয়ারিশরা ভোগদখল করতো। এখন বঙ্কিম চন্দ্র ভুঁইয়া ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু এদিকে শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া গং ও গংরা দলিল মূলে মালিক হয়ে সম্পত্তির নাল জমি ভোগদখল করছেন। তাদের মধ্যে এনিয়ে বিরোধ চলমান রয়েছে।এদিকে এ প্রসঙ্গে প্রতিপক্ষ বঙ্কিম চন্দ্র ভুঁইয়া গং ও গংদের পক্ষে শ্রী পরিক্ষিত চন্দ্র ভুঁইয়া ভাই ছেলে আমি শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া বলেন, আমরা রেকর্ড সম্পত্তি সূত্রে মালিক হয়ে সম্পত্তি ভোগদখল করছি। এবং এব্যাপারে মামলা হলে সেখান থেকে আমরা রায় পেয়ে ভোগদখলে আছি। তবে বঙ্কিম চন্দ্র ভুঁইয়া সম্পত্তি দলিল করা হয় না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।এব্যাপারে গলাচিপা থানার ওসি বলেন, বঙ্কিম চন্দ্র ভুঁইয়া তার সম্পত্তি প্লাস তার ছেলে সাংবাদিক শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া, বর্তমান জীবননাশের হুমকি বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তবে আদালতে আশ্রয়ের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং তার জীবননাশের হুমকি জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, এমুহূর্তে আমি বিষয়টি আমার সঠিক মনে নেই। তবে অফিসে গিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পাদকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম) এম.এ (01711420076 অথবা 01717-934449),প্রকাশক: মো: রাজিবুল করিম রোমিও,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালেরপাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।      

প্রিন্ট করুন