মোঃ আল আমিন ইসলাম নীলফামারী প্রতিনিধি:
সরকারের অনুমোদন ছাড়াই জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে প্রায় শতাধিক স’মিল(করাতকল)।এসব করাতকলে চলছে রমরমা অবৈধ ব্যবসা।এসব স’মিল(করাতকলে)সাবাড় হচ্ছে বনজ ও ফলজসহ নানা প্রজাতির গাছ। অনুসন্ধানে জানা যায়, অনুমোদনহীন এসব স’ মিল(করাতকল) যেমন সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন আইন-১৯২৭ ও তৎপ্রণীত স’মিল (লাইসেন্স) বিধিমালা-২০১২ অনুযায়ী কোনো স’মিল এর মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। লাইসেন্স নেয়ার পর থেকে প্রতিবছর তা নবায়ন করতে হবে। উপজেলার বিভিন্ন স’মিল (করাতকল) ঘুরে দেখা গেছে, মিল চালানোর ক্ষেত্রে সরকারের সুনির্দিষ্ট বিধান থাকলেও এ উপজেলায় এ চিত্র একেবারেই ভিন্ন। এসব মিল-মালিক ১৫-২০ বছর ধরে অনুমোদন ছাড়াই চালাচ্ছেন স’মিল। লাইসেন্সবিহীন স’মিলগুলো বন্ধ করার কোনো উদ্যোগও চোখে পড়েনি, কিন্তু চোখ পড়লে নতুন করে দেখা মেলে (করাতকল) বসানোর চিত্র। জলঢাকা পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নের আনাচে-কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ (করাতকল) এসব করাতকল চত্বরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মজুত করে রাখা হয়েছে। কুকিল ডাকা ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এসব মিলে বিরামহীন চলছে কাঠ কাটার কাজ। গোলমুন্ডা ইউনিয়নে বিভিন্ন জায়গাতেই গড়ে উঠেছে ১০টি (করাতকল)। ধর্মঘড় বাজারে এক জায়গাতেই ৩টি (করাতকল) রয়েছে। এসব করাতকলের নেই কোনো বৈধ কাগজ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক (করাতকল) মালিক বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমাদের স’মিল চলছে। অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছি এখনো অনুমোদন পাইনি। মিল চালু করেছি, তা তো বন্ধ রাখতে পারি না। বন বিভাগের লোকজনকে মাঝেমধ্যে উপঢৌকন দিয়ে মিল চালাচ্ছি।’ তবে সচেতন মহল মনে করেন, এভাবে সরকারের অনুমোদনবিহীন (করাতকল) (স’মিল) চলায় একদিকে পরিবেশ নষ্ট ও বন উজাড় হচ্ছে। অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো জোবায়ের আলম চৌধুরী বলেন মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি দেখা হবে। এ বিষয়ে নিয়ে জলঢাকা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি দেখতেছি।