শাহাদাত কামাল শাকিল :
কুমিল্লা জেলা চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আহত সাংবাদিক আবুল কালাম মজুমদার অপহরণের শিকার হন। এই নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযুক্তের নাম শরীফ হাসান তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবদলের নেতা বলেও জানা যায়। তিনি ঘোলপাশা ইউনিয়ন জগমোহনপুর (বাবুচি) গ্রামের ধন মিয়ার সন্তান।ঘটনা তদন্তে সত্যতা নিশ্চিত করেন স্থানীয় আটগ্রাম রাস্তার মাথায় দোকান ব্যবসায়ীগন অভিযোগে জানা যায় গত ১৪ই আগষ্ট সকাল আনুমানিক ৯টায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা দীঘির পাশে ব্যরিক্যাড দিয়ে ৫/৬ মোটরসাইকেল নিয়ে ১০/১২ জন অজ্ঞান ব্যক্তিসহ তুলে নিয়ে বশকরা নামক একটি স্থানে যাওয়ার পথে প্রাইভেট গাড়ি তে মারধরের সময় আটগ্রাম রাস্তার মাথায় প্রাণরক্ষায় চিত্কার করলে আটগ্রামের দোকানদার ও ব্যবসায়ী, ও সাধারণ মানুষ এসে রক্ষা করে।সাংবাদিক আবুল কালাম মজুমদার গত ৩০শে ডিসেম্বর ২০২২ ইং চৌদ্দগ্রাম মিয়াবাজার নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন স্বাভাবিক চলাচলে অক্ষম।জানা যায় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার সাথে অভিযুক্ত শরীফ হাসানের পরকীয়া সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত করার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে।যুবনেতা শরীফ হাসান ঘোলপাশা ইউনিয়ন বাবুচি গ্রামের ধন মিয়ার সন্তান ৪ সন্তানের পিতা শাশুড়ী চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা মহিলা কাউন্সিলর আমেনা আক্তার,অভিযুক্ত শরীফ হাসানের দ্বিতীয় স্ত্রী কুলসুমা আক্তার সাবেক সহকারী শিক্ষিকা বীরচন্দ্রনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমানে বিজয়করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত। কুলসুমা আক্তারের প্রথম স্বামী চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা গোমারবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ সেলিম ২ সন্তানের দম্পতি। মোহাম্মদ সেলিম দীর্ঘদিন সৌদি আরব প্রবাসী, বিশ্বাস করে সারাজীবনে আয় রোজগার, স্বর্ণালঙ্কার কুলসুমা আক্তারের কাছে রাখেন।মোহাম্মদ সেলিমের অনুপস্থিতিতে কুলসুমা আক্তার ও শরীফ হাসান উভয়ের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয় এই নিয়ে শরীফ হাসান ও তাঁর বউয়ের সাথে ও কুলসুমা আক্তার ও মোহাম্মদ সেলিমের সাথে ঝগড়া বিবাদ হয় যাহা স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে উভয় পক্ষের অভিভাবক গন। বীরচন্দ্রনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তার ও কুসসুমা আক্তারের কে এ বিষয় নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেন।গত ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং স্বামীর নগদ অর্থ ও অলংকার নিয়ে সহ কুলসুমা আক্তার কে নিয়ে শরীফ হাসান পালিয়ে যায়। তারপর কুলসুমা আক্তার মোহাম্মদ সেলিম কে তালাক দিয়ে শরীফ হাসান কে বিয়ে করেন বলে জানা যায়। এবং এ সময়ে কুলসুমা আক্তার একটি ভূয়া মেডিকেল সাটিফিকেট দিয়ে ছুটির আবেদন পত্র লোক মারফত পাঠান। আইনি জটিলতা ও ভূয়া সাটিফিকেট এ কারণে ছুটির আবেদন পত্র গ্রহণ করা হয়নি।এই নিয়ে মোহাম্মদ সেলিমের সাথে জানতে চাইলে বলেন কুলসুমা আক্তার আমার প্রবাস সারাজীবনের সঞ্চয় নিয়ে চলে গেছে, বর্তমানে ২সন্তান নিয়ে আমি মানবেতর জীবনযাপন করছি।চৌদ্দগ্রাম থানার এস,আই মোহাম্মদ ওসমান কে অভিযোগ বিষয় জানতে চাইলে বলেন শরীফ হাসান ও শিক্ষিকা কুলসুমা আক্তারের বিরুদ্ধে একই বিষয় নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে থানায়। পরিস্থিতি ঠিক হলে বিষয় টা গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।