
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ তুষভান্ডার মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ রেফাজ রাঙ্গাকে পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন ও লাগাতার কর্মসূচির দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে তুষভান্ডার মহিলা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রীরা এই আন্দোলন পালন করেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।জানাগেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট মিছিলের সময় তুষভান্ডার ও কালীগঞ্জের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিক্ষার্থী আহত হোন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ওই ঘটনায় তুষভান্ডার মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ রেফাজ রাঙ্গা দেশীও অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। তাই মঙ্গলবার সকালে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় তুষভান্ডার মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ রেফাজ রাঙ্গার পদত্যাগ দাবি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমাজ ও শিক্ষার্থীরা।অভিযোগ উটেছে রেফাজ রাঙ্গা শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন অবৈধ্য কাজে লিপ্ত। ভুলি দখল, চোরাচালান, মাদক কারবারী ঠিকাদারীর নামে করছেন দূর্নীতি কায়েম। তিনি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কখন আসেননি। টিআর, কাবিটা ও বিভিন্ন রাস্তায় ১ কোদাল মাটি না দিয়ে টাকা উত্তোলন করতেন। ভুয়া যুবলীগ কমিটির সদস্য দিয়ে টাকা উত্তোলন করতেন এবং তার কন্ট্রাকটারি লাইসেন্স না থাকলেও কৌশল গত ভাবে নিজেকে সেভ করার জন্য অন্যের কাজ কিনে নিয়ে করতেন। যে সকল দপ্তরে কাজ করতেন শিডিউল অনুযায়ী ৫০% কাজ সঠিক ভাবে না করে কোন রকম হুমকি ধামকি দিয়ে প্রশাসন এর কাছ থেকে টাকা তুলতেন।নিয়োগ বাণিজ্য, ভুয়া চেকের টাকা উত্তোলন, ভুয়া প্রজেক্ট, ভুয়া ঠিকাদারী, তার প্রধান পেশা ছিলো।এদিকে তুষভান্ডার মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ রেফাজ রাঙ্গা দাবি করে বলেন, আমার হাতে কোন দেশিও অস্ত্র ছিল না। আমি হাতে একটি পতাকা নিয়ে মিছিল করেছি। কয়েকজন এটিকে মিথ্য ও গুজব ছড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন। ক্লাসে আসছেন না এমন প্রশ্নের জব্বাবে তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থা আমার ভালো না। তাই মেইলে ছুটির আবেদন নিয়ে বাড়িতে রয়েছি। সুস্থ হলে অবশ্যই ক্লাসে ফের যাবো বলেও তিনি জানান।কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম জানান, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে মিছিল করছে এমন খবর পেয়ে ছুটে যান গিয়ে তাদের শান্ত করেছেন বিকাল ৫.০০ দিকে তিন সদস্য টিম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহির ইমাম তাকে উক্ত পদ থেকে পদত্যাগ
দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেব। এছাড়াও তুষভান্ডার মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ রেফাজ রাঙ্গাকে পদত্যাগ করার বিষয় সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়।