
স্টাফ রিপোর্টার:শেরপুর শ্রীবরদী ফরেস্ট গার্ড কৌশিক রঞ্জন বিশ্বাস এর চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ফখরুজ্জামান চেয়ারম্যানের।ফখরুজ্জামান বলেন১নং সিংগাবরুনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমি জানি শ্রীবরদী বন বিভাগের কার্যালয়ে কুশিক রঞ্জন বিশ্বাস বন প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছে। সে শ্রীবরদীতে যোগদান করার পর হইতে সরকারি মোটরসাইকেল ব্যবহার করিয়া এলাকায় থাকা লাইসেন্স প্রাপ্ত করাত কল গুলিতে ঘুরিয়া করাত কল মালিকদের করার কল সংক্রান্ত কাগজপত্রের জটিলতার কথা বলিয়া চাঁদা দাবি সহ করাত কলের আশা সাধারণ জনগণের কাঠকে বনের কাঠ আখ্যা দিয়া অযথা চাঁদা দাবি করিয়া এবং গ্রহণ করিয়া আসিতেছে। মাঝে মধ্যে নিজেকে ফরেস্টার পরিচয় দিয়া চাঁদা দাবি করে। কৌশিক রঞ্জন বিশ্বাস বন প্রহরী হইয়া সরকারি মোটরসাইকেল যোগে সমগ্র শ্রীবরদী উপজেলায় ঘুরিয়া রাস্তাঘাটে সাধারণ জনগণের কাঠ ও লাকড়ি বোঝাই গাড়ি পাইলে রাস্তায় আটকাইয়া বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করিয়া মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় গাড়ি সহ কাঠ লাকড়ি আটকাইয়া বন আইনের মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়া হয়রানী করিয়া আসতেছে। শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন কাঠের ডিপোতে গিয়া বনবিভাগের রশিদ বাহির করিয়া সহকারী ট্যাক্স নেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়া রশিদ দেয় না। রশিদ চাইলে আর ও বেশি টেক্স দিতে হবে মর্মে হুমকি দেয়। মাসে ২/৩ বার বিভিন্ন করাত কলে গিয়া অযথা কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের নাম করিয়া চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ওই করাত কল সম্পর্কে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ভুল তথ্য দিয়া করাত কল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এবং নিজেই উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে করাত কল হইতে নিয়ে যাওয়ার জন্য করাত কল মালিকদের কাছে টাকা আদায় করে। এলাকায় বসবাস রত অসাধারণ মানুষ তাদের গাছ কাটিয়া কাঠ ও লাকড়ি ভ্যান যোগে বিভিন্ন করাত কল নেওয়ার পথে বন প্রহরী কৌশিক রঞ্জন বিশ্বাস রাস্তায় আটকাইয়া টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে অনেক সময় রাস্তায় আটকাইয়া সময় ক্ষেপন করিয়া হয়রানি করে। এসব বিষয়ে এলাকার লোকজন আমাকে সহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজনদেরকে জানাইলে বন প্রহরী কৌশিক রঞ্জনের সাথে যোগাযোগ করা হলে এসব কাজ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আদেশে করিয়া আসিতেছে মর্মে জানায়। তাঁহার এহেন কর্মকান্ডে এলাকার সাধারণ জনগণ, করাত কল ও কাঠ ব্যবসায়ীগণ অতিষ্ট হইয়া পড়িয়াছে বিদায় ইহার প্রতিকার পাওয়ার জন্য আপনার বরাবর আবেদন করিলাম।অতএব,মহোদয় সমীপে বিনীত আরজ,উপরোক্ত বিষয়ে এলাকায় সরে জমিতে তদন্ত পূর্বক বন প্রহরী কোশিক রঞ্জনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে মহোদয়ের সু-মর্জি হয়। ১১/০৭/২৪ তারিখে পাঁচটি দপ্তরে বরাবর চিঠি পাঠান। ১/জেলা প্রশাসক শেরপুর জেলা কার্যালয়ে। ২/ দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়,জামালপুর। ৩/ প্রধান বন সংরক্ষক বন ভবন ঢাকা। ৪/ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ময়মনসিংহ বন বিভাগ ময়মনসিংহ। ৫/দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইল। এগুলো দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে সুষ্ঠু বিচারের অপেক্ষায়।