প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭

১৯শে জুলাই ঢাকায় বুকে পুলিশের গোলাগুলিধিন আন্দোলনকৃত অবস্থায় প্রাণ হারান রংপুরের সোহাগ ইসলাম

 মোঃ আল আমিন ইসলাম বার্তা সম্পাদক: গত ১৯ শে জুলাই ঢাকার উত্তর বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হয় রংপুরে সোহাগ ইসলাম । তার বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা। শহীদ আবু সাইদের বাড়ি থেকে দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। আবু সাইদের বাড়িতে মানুষের ভিড় লেগে থাকে প্রায় সারাদিন। অন্যদিকে সোহাগের বাড়ির উঠান ফাঁকা। হতদরিদ্র পরিবারটি কর্মের তাগিদে ঢাকায় থাকেন। সোহাগের বাবা রিকশাচালক, সোহাগের মা গার্মেন্টেসে কাজ করেন আর সোহাগ টি-শার্টের উপর প্রিন্ট দেয়ার কাজ করত এবং পাশাপাশি লেখাপড়া করত। গত ১৯ জুলাই জোহরের পর তার বন্ধু সাথে দেখার করার কথা বলে সোহাগ বাসা থেকে বের হয়। একটু পরে সোহাগের বাবার কাছে একজন এসে জানায় সোহাগকে গুলি করেছে পুলিশ সে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাবা-মা পাগলপ্রায় হয়ে হাসপাতালে খুঁজতে থাকে। উত্তরার AMZ hospital এর মর্গে লাশ খুঁজতে গেলে একটা লাশের উপর থেকে কাপড় সরে গেলে সোহাগের সাদা পাঞ্জাবি বের হয়ে থাকতে দেখেন সোহাগের বাবা তার ছেলের লাশ পড়ে আছে । এরপর পাগলপ্রায় হয়ে ছেলের লাশ মর্গে থেকে রিকশা করে বাড়ি নিয়ে আসে সোহাগের বাবা। মর্গের থেকে তাদের বলা হয়েছে সোহাগ সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে। কিন্তু তার বাবা মা, আত্নীয় স্বজন বুকে স্পষ্ট বুলেটের দাগ দেখেছিলেন। যখন লাশ দেখে তখন সোহাগের শরীর রক্তে ভাসছিলো। পরে পীরগঞ্জের চেয়ারম্যান অফিশিয়াল কাগজে সোহাগের মৃত্যুকে ‘পুলিশের গুলিতে মৃত্যু’ হিসেবে উল্লেখ করে। সোহাগের বাবার ভাষ্যমতে, লাশ নিতে আরেকটু দেরী হলেই ছেলের লাশ তারা আর পেত না। অনেকদিন পর্যন্ত সোহাগের শহীদ হওয়ার খবর কেও জানতো না। পীরগঞ্জের ছাত্ররা ঘটনার কথা শুনে শহীদ সোহাগের কথা জানতে পারে। তারা কিছু উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা করছে। মৃত্যুগুলো লুকানোর জন্য সড়ক দূর্ঘটনা, স্ট্রোক, হার্ট এটাক এসব কারণ দেখিয়েছে ডাক্তার। সঠিক তদন্ত করে লিস্ট করা ছাড়া এই শহীদ পরিবারগুলো তাদের প্রাপ্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হয়ে উঠানের কারণে সমাধিত হবে। সোহাগের পরিবার একদমই হতদরিদ্র দিন আনে, দিন খায় ছেলের চিন্তায় পুরো পরিবার পাগল হয়ে গেছে। এ সময় মানবতার জীবনযাপন পার করতেছেন সোহাগের পরিবার। সোহাগের বাবা ঢাকা যেয়ে রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতো। ওখানকার স্থানীয় লোকজন বলতেছেন সরকার এবং ছাত্র সবাই কে এগিয়ে আসতে হবে সোহাগের পরিবারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে তাদের প্রতি। কারণ সে একটি তাজা প্রাণ দিয়েছেন এদেশ নতুনভাবে স্বাধীন করার জন্য। নিহত শহীদ সোহাগের পরিবারের জন্য কিছু করেন সোহাগের বাবার এই আকুতি মিনতি সবার কাছে পৌঁছে দিন, নিহত সোহাগ রংপুর পীরগাছা।

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ আনছারুজ্জামান (রেজুয়ান ইসলাম).এম এ,মোবাইল নং- 01717934449 অথবা 01711420076,সহ-সম্পাদক:   ইয়ামিন হাসান-01710524903,বার্তা সম্পাদক: ফারুক হোসেন,সহ-বার্তা সম্পাদক: জাফর ইকবাল রানা।

টি.এল নম্বর: 00078/2026

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃফলিয়া দিগর (বটতলা) বাজার,কামালের পাড়া,সাঘাটা,গাইবান্ধা।

প্রিন্ট করুন